তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া : সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা সফরে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’, শুরু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বাঁকুড়ার ২২ টি ব্লক, ১৯০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও তিনটি পুরসভার ৫৮ টি ওয়ার্ডে ১২০০ শিবিরের মাধ্যমে একযোগে এই প্রকল্পের সূচণা হয়। যা আগামী ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের মোট ১২টি প্রকল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন সরকারি কর্মীরা। এই প্রকল্পগুলি হলো খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, জাতিগত শংসাপত্র, জয় জোহার, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, রুপশ্রী ইত্যাদি। সরকারী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রায় সকলেই।

বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা রাজীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘উদ্যোগ ভালো, তবে এই সিদ্ধান্ত নিতে বড্ড দেরী হয়ে গেল’। বিড়ি শ্রমিক বাসুদেব গরাই বলেন, বার্ধক্য ভাতার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কাজ হয়নি। ভোটের মুখে ‘দুয়ারে সরকারে’র সৌজন্যে যদি হয় সেকারণেই আবেদন জানাতে তিনি এসেছেন বলে জানান।

বাঁকুড়া পুরসভায় এই কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে পুর প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য দিলীপ আগরওয়াল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচী শুরু হলো। প্রথম দিন মূলতঃ স্বাস্থ্য সাথীর আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। আগে সীমিত সংখ্যক মানুষ এই প্রকল্পের সুযোগ পেতেন, এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের দশ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত হবেন বলে তিনি জানান।

‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কড়া সমালোচনা করেছে বামেরা। সিপিআইএম নেতা প্রতীপ মুখার্জী বলেন, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে তার মেয়াদের চার বছর ন’মাস অতিক্রম করে ফেলেছে। ভালো কিছু কর্মসূচী নিতে হলে সরকারের সূচণা লগ্নে করতে হয়।

‘জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে’ শাসক দলের এই কর্মসূচী নেওয়ার কথা মনে হয়েছে। এতো ঢাক পিটিয়ে এই কাজ করা মানে ভোটের আগে ‘গিমিক’ ছাড়া কিছু নয় বলে তিনি দাবি করেন।

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।