শুভেন্দুর সহমর্মী শোভন! একুশের আগে তৃণমূলে দূরত্ব বৃদ্ধিতে দিলেন তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা
শোভন চট্টোপাধ্যায় ন-মাস অজ্ঞাতবাসে কাটিয়েছেন তৃণমূলে। তারপর বিজেপিতে গিয়েও তিনি রাজনৈতিকভাবে অন্তরালে থেকেছেন ১৫ মাসেরও বেশি। তিনি বোঝেন একজন রাজনৈতিক মানুষের অপমানের কষ্ট। সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই তিনি শুভেন্দু অধিকারীকেও ব্যাখ্যা করলেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে তিনি ব্যক্ত করলেন তাঁর অভিমত।

শুভেন্দু ইস্যুতে নয়া মোড় আসার পর
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দীর্ঘ তিন-চার মাস ধরে জল্পনা চলছে। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে সমান্তরাল জনসংযোগ চালাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। ছেড়েছেন একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক পদ। একাধিক কমিটি থেকেও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তারপরও তৃণমূলের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেন। কিন্তু বৈঠকের পর দিনই ফের ঘুরে যায় পরিস্থিতি।

শোভনের সামনে উঠল শুভেন্দু প্রসঙ্গ
এই অবস্থায় শুভেন্দু কী করবেন, কোন দলে যাবেন নাকি নতুন দল করবেন, তা নিয়ে জল্পনার পারদ চড়তে থাকে ফের। এদিন তৃণমূল ত্যাগী আরও এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় অন্তরাল থেকে বেরিয়ে রাজভবনে দেখা করতে এসেছিলেন। স্বভাবতই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই উঠেছিল শুভেন্দু-প্রসঙ্গ।

শুভেন্দু প্রসঙ্গে কী বললেন শোভন
শুভেন্দু প্রসঙ্গে শোভন বলেন, শুভেন্দু অধিকারী আমার সতীর্থ ছিলেন। একইসঙ্গে একই মন্ত্রিসভায় কাজ করেছি। তাঁর বাবা আমাকে বড় ছেলে বলতেন। আমি বুঝি একটা রাজনৈতিক দলে কাজ করতে গিয়ে সম্মানে লাগার কষ্ট। যে রাজনৈতিক দলেই থাকুন না কেন, সম্মান নিয়ে থাকা বড় ব্যাপার। তা প্রাধান্য দিতেই হবে।

শুভেন্দু প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা শোভনের
শুভেন্দু প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে সম্মান নিয়ে রাজনীতির বাইরে তিনি মুখ খোলেননি। তিনি বলেন, শুভেন্দু কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি ইতিমধ্যে সবকিছু জানানোর জন্য একা দিন ধার্য করেছেন। তাই সবার আগে তিনি কী বলেন, তা শোনা দরকার। তার আগে আগ বাড়িয়ে কিছু বলা যথার্থ নয়।
এবার সরাসরি কৃষকদের আন্দোলনের পাশে মমতা! পথে নামছেন মমতা, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না