নয়াদিল্লি: ৮ দিন ধরে চলা কৃষি আন্দোলনে নড়ে গিয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। হাজারে হাজারে কৃষক কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজধানীর বাইরে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। বৃহস্পতিবারও দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেছিলেন কৃষকদের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রের সঙ্গে আবারও কৃষক নেতাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়। ৪০ জন কৃষকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের সাড়ে সাত ঘন্টা ম্যারাথন বৈঠক হয়। তবে উঠে আসেনি ফলাফল।

শেষ পর্যন্ত, উভয় পক্ষই জানিয়েছে, আবার মিটিং হবে ৫ ডিসেম্বর দুপুর ২ টোয়। কিন্তু এই বৈঠকের আগে নিজেদের রণনীতি ঠিক করে নিতে চাইছে কৃষকেরা। আর তাই শুক্রবার বেলা ১১ টায় কৃষকদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আগামীদিনের রণকৌশল নির্ধারণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেছিলেন কৃষকদের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে ছিলেন কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অন্যদিকে কৃষকদের পক্ষে ছিলেন ৪০ জন কৃষকের প্রতিনিধি দল।

দুপুর ১২ টায় আলোচনা শুরু হওয়ার পরে, কৃষকরা দশ পৃষ্ঠার একটি খসড়া সরকারের সামনে রাখেন। যেখানে নিজেদের দাবি ও অসুবিধার কথা জানান তাঁরা। উল্লেখ্য বিষয় হল কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও সমঝোতার রাস্তায় হাটতে কৃষকেরা যে একেবারেই রাজি না, তা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে কৃষকদের আচরণে। বৃহস্পতিবারের সভায় কেন্দ্রের তরফে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছিল কৃষক প্রতিনিধিদের। সরাসরি সেই খাবার খেতে মানা করে দেন তাঁরা। কেন্দ্রের দেওয়া খাবার ফিরিয়ে নিজেদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা খাবার খান তাঁরা। সেই ছবি সম্প্রচারিত হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি।

নতুন কৃষি আইন কৃষকদের সর্বনাশ করবে। এই আইন বাতিলের দাবিতে সারা ভারত কৃষকসভা সহ ৩২টি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সারা ভারত কিসান সংঘর্ষ সমিতি দিল্লি ঘেরাও করে রেখেছে। অন্তত ১২ লক্ষ কৃষক এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। সরকারের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা ভেস্তে যেতেই কৃষক সংগছনগুলির হুমকি আইন বাতিল না করলে অনির্দিষ্টকাল ঘেরাও করে রাখা হবে রাজধানী।

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।