তৃণমূলে কি ফের বড় উইকেট পড়তে চলেছে! শুভেন্দুর পথ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা
তৃণমূলে বড় ধাক্কা লাগতে চলেছে একুশের আগে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই এখন শুধু তৃণমূল নেতাদের অসন্তোষের কথা। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন এমন আবহ তৈরি হতেই জেলায় জেলায় তৃণমূলের অসন্তোষ বাড়ছে। এমনকী শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মৌসম বেনজির নুরও বেঁকে বসেছেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

ইস্তফার চিঠি মৌসমের! সোশ্যাল মিডিয়ায় রটনা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের ডাকা বৈঠকে মালদহ জেলা নেতৃত্বের প্রায় সবাই এলেও আসেননি মৌসম বেনজির নুর ও সাবিত্রী মিত্র। এর মধ্যে মৌসম বেনজির নুর শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। তিনি বর্তমানে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী। তিনি ইস্তফার চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় রটনা তৈরি হয়েছে।

শুভেন্দুর হাতে ধরে তৃণমূলে নাম লেখান মৌসম
গনিখান চৌধুরীর ভাগ্নী মৌসম বেনজির নুর ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে তাঁর দাপট ছিল কংগ্রেসে। তিনি জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রীও ছিলেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আসার পর শুভেন্দুর হাতে ধরে তিনি তৃণমূলে নাম লেখান।

শুভেন্দুর ফাটল চওড়া হতেই মৌসমকে নিয়েও জল্পনা
লোকসভা নির্বাচনে মালদহ উত্তর থেকে তিনি হেরে যান। তাঁকে হারিয়ে সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু। এরপর তৃণমূল তাঁকে জেলা সভাপতির আসনে বসায়। এখন তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দুর ফাটল চওড়া হতেই মৌসম বেনজির নুরকে নিয়েও জল্পনা সমানে বাড়ছে। তিনিও তৃণমূল ছাড়তে পারেন বলে রটনা তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও মৌসম বা তৃণমূলের তরফে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।

অভিষেক ও পিকের বৈছকে অনুপস্থিত ছিলেন
শুভেন্দু অধিকারী মালদহ জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই মালদহ জেলায় তৃণমূল বাড়তে শুরু করেছিল। সেই শুভেন্দু তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতেই অভিষেক ও পিকে সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন। মালদহ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে প্রায় সবাই যোগ দিয়েছিলেন জেলাস্তরের। কিন্তু ছিলেন জেলা সভানেত্রী মৌসম। তখন থেকেই জল্পনার পারদ চড়তে থাকে।