তৃণমূল দূর্গে জোর ধাক্কা দিয়ে 'প্রতিবাদী' আরও এক বিধায়ক! দলের সভার পাল্টা সভা ঘিরে ঘাসফুলে শিবিরে বিড়ম্বনা
গোষ্ঠীকোন্দল ও সংঘাতের জেরে কার্যত ২০২১ সালের আগে বিধ্বস্ত তৃণমূল। ক্রমাগত দলের একের পর এক নেতা , বিধায়করা যেভাবে প্রকাশ্যে ধরা দিচ্ছেন, তাতে দলের ভাবমূর্তি ক্রমেই ক্ষুণ্ণ হয়ে চলেছে। শুভেন্দু অধ্যায়ের পাশাপাশিই, মিহির গোস্বামী থেকে শীলভদ্র, জটু লাহিড়ির পর এবার বৈশালী ডালমিয়া ও রচপাল সিংও খবরে। হুগলিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিমুখ কোনদিকে দেখে নেওয়া যাক।

হুগলিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হওয়ার পথে!
এমনিতেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্যের জেরে হুগলিতে কল্যণের সঙ্গে অপরূপা পোদ্দারের মন কষাকষির খবর প্রকাশ্যে আসে। সারদা , নারদা নিয়ে কল্যাণের খোঁচা অপরূপ সহজে নেননি। এমন অবস্থায় হুগলিতে তৃণমূলের একটি সাম্প্রতিক সভায় অপরূপ, কল্যাণ সহ দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব উপস্থিত থাকলেও সেখানে ডাকা হয়নি বিধায়ক রচপাল সিংকে। এরপর থেকেই পরিস্থিতি সরগরম হয়েছে।

রচপাল বিতর্ক ও হুগলি
হুগলির ওই সভায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দারের নাম দিয়ে প্রচুর ব্যানার টাঙানো থাকলেও, তাতে রচপাল সিংয়ের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই রচপালপন্থীরা এতে ক্ষুব্ধ হন। এরপর ফ্লেক্স বদলে গেলেও, রচপালপন্থীরা মন বদলাতে পারেননি। ক্ষোভ তারকেশ্বরের বিধায়ক যে এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ তার প্রমাণ মিলল তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপে।

'অপমানিত' বিধায়ক
রচপাল সিংয়ের আক্ষেপ, দুদফায় প্রায় দশ বছর এবাকার বিধায়ক হয়েও তাঁকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকা হল না। এই বিষয়টি তিনি দলীয় নেত্রীকে জানিয়েছেন বলে বক্তব্য রচপালের। বিষয়টিতে তিনি 'অপমানিত' বোধ করছেন বলেও জানান। প্রসঙ্গত, কখনও গোষ্ঠী কোন্দল ও কখনও দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূলের বহু বিধায়ক নেতা, কাউন্সিলর 'অপমানিত' বোধ করার প্রসঙ্গ তুলেছেন সাম্প্রতিককালে।

পাল্টা সভা ও রচপালের
এদিকে, তৃণমূলের জেলার সভায় তাঁকে না ডাকার প্রতিবাদে পাল্টা সভা করেন রচপাল। তারকেশ্বরের বিধায়ক রচপাল সিংয়ের সঙ্গে সেই সভায় দেখা যায় অপরূপা পোদ্দারকে। যে অপরূপা পোদ্দার কয়েকদিন আগেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরক্তি স্পষ্ট করেন। সবমিলিয়ে ক্রমাগত দলের এমন ফাটল ঘিরে রীতিমতো অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।