বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে বাদ গাঁজা! ভারতের সম্মতিতেই নয়া সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের
ভাঙল ৫৯ বছরের রেকর্ড। গাঁজা ও চরসকে বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে বাদ দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। গত বুধবার ইউএন কমিশন অফ নারকোটিক ড্রাগসের ৬৩ তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। যা নিয়ে শোরগোল আন্তর্জাতিক মহলে।

সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পাকিস্তান
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউএন কমিশন অফ নারকোটিক ড্রাগসের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৯। বুধবার প্রথম যকন গাঁজাকে বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ হয় তখন অন্যান্য অনেক দেশের সঙ্গে ভারতও তাতে সম্মতি জানায় বলে খবর। যদিও চিন পাকিস্তানের মতো একাদিক দেশ প্রস্তাবের বিরোধীতিা সুর চড়ায় বলে খবর।

চলতি সপ্তাহেই বিবৃতি প্রকাশ
এদিকে এতদিন হেরোইনের মতো মাদককের সাথেই একই তালিকায় ছিল গাঁজাও। পাশাপাশি এতদিন ১৯৬১ সালের সিঙ্গল কনভেনশন অফ নারকোটিক ড্রাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই লিস্টে ৪ নম্বরতালিকায় নাম ছিল গাঁজার। কিন্তু বর্তমানে সেটাকেই ছেঁটে ফেলতে চাইছে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ কমিটি। ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

কী যুক্তি দিচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ ?
অন্যদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, অনেক মাদক থেকেই অতীতে একাধিক যুগান্তকারী ওষুধ প্রস্তুতি সম্ভব হয়েছে। গাঁজার মধ্যে সেই ক্ষমতা রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। যদিও এই ক্ষেত্রে আঁশিক প্রমাণ মিললেও গোটা প্রক্রিয়াটিই গবেষণাধীন। তাই এই গবেষণায় আরও জোর দিতে এবং একইসাথে বিভিন্ন মাদককে ওষুধ হিসাবে ব্যবহারের পথ খুলে দিতেই এই সিদ্ধান্ত।

কী বলছে ভারতীয় মাদক আইন ?
এদিকে ভারতের নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যানসেস বা এনডিপিএস আইন অনুযায়ী গাঁজা চাষ, কাছে রাখা ও পরিবহন শাস্তি যোগ্য অপরাধ। ১৯৮৫ সালেই প্রথম ভারতে এই আইন কার্যকরী করা হয়। এদিকে এর আগে ২০১৯ সালেই প্রথম বিপজ্জনক মাদকের তালিকা থেকে গাঁজাকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। গত মার্চ মাশেই প্রথম প্রস্তাবটি পেশ হয় বলেও খবর। এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নয়া সিদ্ধান্তে ভারত সম্মতি প্রকাশ করলেও দেশের বুকে গাঁজা সংক্রান্ত আইন বদলাবে কিনা সেটা সময় বলবে।

এবার বিস্ফোরক আরও এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ