ভারতীয় রেলে চালু হতে চলেছে জিরো বেসড টাইম টেবিল, জেনে নিন নতুন এই নিয়মটি আসলে কী
করোনা আবহে নিউ নর্মালে দূরপাল্লার ট্রেনের পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রেনও চলতে শুরু করেছে। তবে যাত্রী অপ্রতুল হওয়ার কারণে বহু স্টেশন তুলে দেওয়া হয়েছে। যার জন্য বেড়েছে ট্রেনের গতি। এজন্য সময়ের হেরফের হয়েছে অনেক ট্রেনের। ফলে যাত্রীদের বিভ্রান্তিতে ভুগতে হচ্ছে। তাই এবার মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন যাতে সুস্থভাবে পরিচালনা করা যায় তার ভারতীয় রেল 'জিরো–বেসড টাইম টেবিল’ নিয়ে আসবে খুব শীঘ্রই। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও ভিকে যাদব বলেছেন, 'রেলের নতুন জিরো–ভিত্তিক টাইম টেবিল দুরপাল্লার ট্রেনগুলিতে গড়ে ৩০ মিনিট থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ভ্রমণের সময়টি কমিয়ে আনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

রেলের ব্যবসায় প্রভাব পড়বে
ভিকে যাদব এও জানান, রেলের জিরো-বেসড টাইম টেবিলের মাধ্যমে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের জন্য উৎসর্গীকৃত করিডোর তৈরি করার কথাবার্তা চলছে। এতে মালবাহী ট্রেনের সময়ও কমবে। এই ব্যবস্থা রেলে ঐতিহাসিক বদল নিয়ে আসবে এবং যার প্রভাব সরাসরি রেলের ব্যবসায় পড়বে। নতুন এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় মালবাহী ট্রেনের সফরেও অনেক উন্নতি আসবে। এখন মালবাহী ট্রেনের যতটা সময় লাগে ভবিষ্যতে তার চেয়ে কম সময় লাগবে।

আধুনিক প্রযুক্তির অংশ
রেল বোর্ডের আধিকারিকদের মতে, ‘জিরো-বেসড টাইম চেবিল' আধুনিক প্রযুক্তির অংশ। এই টাইম টেবিল বানানোর সময় এটা মেনে নিতে হবে যে দেশে কোনও ট্রেন চলছে না এবং যাত্রীদের তালিকাও শূণ্য। ট্রেনের চাহিদা ও উপলব্ধের ওপর বিচার করে এই অপরেশন শুরু করতে হবে। এই প্রযুক্তিতে প্রত্যেক ট্রেন তীব্র গতিতে চলার জন্য সময় নির্ধারণ করা হবে। যার ফলে কোনও ট্রেনকে এগিয়ে যেতে হলে দ্বিতীয় ট্রেনকে থামানোর প্রয়োজন হবে না।

প্রত্যেক ট্রেনের জন্য আলাদা আলাদা সময়
জিরো-বেসড টাইম টেবিলে প্রত্যেক ট্রেনের জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করা হবে।
ভারতীয় রেলের জিরো-ভিত্তিক টাইম টেবিল বিলম্বিত ট্রেনগুলির অবস্থার উন্নতি করবে। এটি ওয়েটলিস্ট হ্রাস করতে সহায়তা করবে। জিরো-ভিত্তিক টাইম টেবিল শুরু হয়ে গেলে, দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনের গড় যাত্রা ৩০ মিনিট থেকে ছয় ঘন্টা বাঁচবে। শূন্য-ভিত্তিক টাইম টেবিল ট্রেনের গতিও বাড়িয়ে তুলবে। এটা বলে রাখা ভালো যে করোনা সঙ্কটের সময় ভারতীয় রেল জিরো-ভিত্তিক টাইম টেবিলে ট্রেন চালিয়েছে।

ট্রেন পরিষেবা শুরু
বর্তমানে রেল ৯০৮টি মেল এক্সপ্রেস ট্রেন চালাচ্ছে, যা পূর্ববর্তী-কোভিড সময় ১৮০০টি চলত। যাত্রীদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০টি বিশেষ ট্রেন চলতে শুরু করেছে। এছাড়াও মুম্বইয়ে ২,৭৭৩ ও কলকাতায় ৮৪৩টি শহরতলির ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে গত মাসে। উপরন্তু ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত উৎসব মরশুমে অতিরিক্ত ৫৬৬টি ট্রেন চলেছে।
শুভেন্দুরা বেঁকে বসে আছেন, তোয়াক্কা না করেই মমতা বঙ্গ-বিজয়ে নামলেন ময়দানে