স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: শুভেন্দুর অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনার মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরে দলবিরোধী কাজকর্মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ‘গুরুদায়িত্ব’ তিনি দিলেন শুভেন্দু-পিতা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে।
৬ ডিসেম্বর রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করার কথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। তার পরের দিন ৭ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি ও নানা স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর যোগদান নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে বৈঠকে যোগ দেন তিনি। বৈঠকের মধ্যে শিশিরবাবুকে মমতা বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় দলবিরোধী কাজ চলছে। বিশেষ করে কাঁথি, নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ায় দলবিরোধী কাজকর্ম বন্ধ করতে হবে। যারা দলবিরোধী কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।’
এছাড়াও শিশিরবাবুকে দলনেত্রী নির্দেশ দেন, ”নন্দীগ্রাম ও হলদিয়া ব্লকের তৃণমূলের সভাপতিকে বদল করার জন্য। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের ব্লক সভাপতি সম্প্রতি শুভেন্দুর বাইক র্যালির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন।
সঙ্গে নাম না করে এদিন শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের বার্তা দেন মমতা। বলেছেন, “আমার একজন চলে যাবে, এক লক্ষ সম্পদ তৈরি হবে। যাঁরা এজেন্সির ভয়ে অন্যত্র যাচ্ছেন আমি তাঁদের পছন্দ করি না।” তিনি আরও বলেন, “ভোট এলেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে বিজেপি ভয় দেখায়। আমাদের এসব রুখতে হবে। যারা লুঠেরাদের সঙ্গে যেতে চায় যাক। যারা সাহস করে আমার সঙ্গে থাকতে চান তাদের নিয়েই লড়ব।”
এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে আরও একবার মনে করিয়ে দেন, দলে নতুন পুরনো সবারই গুরুত্ব আছে। সবাই হাতে হাত মিলিয়ে ভোটের লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
এদিন বৈঠকে আচমকা এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্যের মাঝেই হঠাৎ বলে ওঠেন, কেউ কেউ আসন দখলের জন্য তাঁর মৃত্যু কামনা করছেন। উত্তেজনায় গলা কাঁপতে থাকে তাঁর। দলের অন্যান্যরা তাঁকে সামলান।