মমতার মুখে মৃত্যুর কথা শুনেই সর্বসমক্ষে কান্না রাজ্য সভাপতির, বৈঠকে 'বিষাদে'র সুর
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা বাক্যেই বৈঠক হয়ে উছল নাটকীয়। বৈঠকের মাঝেই কেঁদে ফেললেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেছিলেন, কেউ কেউ আমার মৃত্যু কামনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য। তা শুনেই চোখে জল সুব্রত বক্সির। বৈঠক শেষেও আলোচনা সুব্রত বক্সির কান্না নিয়ে।

মমতার মুখে মৃত্যুর কথা শুনে কান্না
নিতান্তই সহজ সরল প্রকৃতির নেতা সুব্রত বক্সি। দিদি অনুগত প্রাণ। কথা বলেন সোজাসাপ্টা। কোনও রাখঢাক করেন। কিন্তু কেউ কাজের কথা বললেন, ফে্রাতেন না। তিনি যে এত আবেগবিহ্বল সেই পরিচয় আগে পায়নি বাংলার জনতা। শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠক চলাকালীন মমতার মুখে মৃত্যুর কথা শুনে কেঁদে ভাসালেন তিনি।

বক্সিকে ভেঙে পড়তে দেখে থমকে যান মমতা
মমতার মুখে মৃত্যুর কথা শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি সুব্রত বক্সি। সর্বসমক্ষেই কেঁদে ফেলেন। কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, আপনি এমন কথা বলবেন না। আপনি থাকবেন। আপনি আদীবন আমাদের নেত্রী থাকবেন। আমাদের রাস্তা দেখাবেন। সুব্রত বক্সিকে ওইভাবে্ ভেঙে পড়তে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও থমকে যান।

মমতা আশ্বস্ত করলেন বক্সিকে, দিলেন বার্তা
তারপর মমতা তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনি কাঁদবেন না। আপনি একটু জল খান। শান্ত হোন। এরপর বক্সি নিজেকে সামলে নেন। এরপর সারা বৈঠকে আর সেভা্বে কথা বলেননি সুব্রতবাবু। তাঁর এই কান্না নিয়ে বৈঠকের পরেই চর্চা শুরু হয়ে যায়। এরপর মমতা নির্দেশ দেন, বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্ম্ক লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মমতার দৃপ্ত কণ্ঠ শুনে তখন অনেকটাই চাঙ্গা সুব্রত বক্সি।

মমতার মৃত্যু কামনা করছেন অনেকে!
মমতা আরও বলেন, দলে কেউ কেউ আমার মৃত্যু কামনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য। কিন্তু মৃত্যু তো আমার হাতে নেই, মৃত্যু ভগবানের হাতে। এই কথা বলে মমতা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তারপর বলেন, আমার দলে চারটি জেনারেশন তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেউ ভাববেন আমি চলে গেলে আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কেউ থাকবে না। আমি না থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার থাকবে।

নাম না করে শুভেন্দুকে বার্তা মমতার!
শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করলেও মমতার এই নির্দেশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মমতা বলেন, বিজেপি এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। যাঁরা সাহস করে থাকতে চান, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান, তাঁরা থাকুন। আর যাঁরা লুঠেরাদের সঙ্গে যেতে চান, চলে যান। মমতা নাম না করে এই বার্তা শুভেন্দুকেই দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।

শুভেন্দুকে নিয়ে ইঙ্গিতবহ সব্যসাচী, চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন তৃণমূলের ভাঙন রেখা