তৃণমূল দুর্গে আরও এক হেভিওয়েট বেসুরো! 'বহিরাগত' ইস্যুতে এবার বিধায়কের কণ্ঠে 'মোদী নাম' ঘিরে জল্পনা
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। যে মঙ্গলবার ১ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনে তৃণমূল ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সেদিনই বালিতে তৃণমূলের আরও এক বিধায়ককে নিশানা করে পর পর পোস্টার পড়তে থাকে। পোস্টারে দাবি করা হয়, বহিরাগত নয়, বালির স্থানীয় কাউকে এবার প্রার্থী করতে হবে। এরপর থেকেই জল্পনার পারদ তুঙ্গে বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে ঘিরে। এরপরবর্তী পর্যায়ে পরিস্থিতি কোনদিকে এগিয়েছে দেখা যাক।

প্রধানমন্ত্রী, 'বহিরাগত' তকমা ও বৈশালী
বালিতে যে বৈশালীকে নিশানা করে 'বহিরাগত' বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে, তার প্রসঙ্গে বৈশালী ডালমিয়া বলেন, 'আমি বহিরাগত নই। বালিতে আমার নিজের নামে বাড়ি আছে। যাঁরা পোস্টার লাগিয়েছেন তাঁরাই প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যে এলে তাঁকেও বহিরাগত বলেন। এই সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত।'

তৃণমূল দূর্গে আরও এক ধাক্কা!
একের পর এক তৃণমূল নেতা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিলে, বাকি মিহির গোস্বামী থেকে শীলভদ্র দত্ত সহ অনেকেই ঘাসফুল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতেই,তাঁদের ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় আর এক নাম সংযুক্ত হল বুধবার বৈশালী ডালমিয়ার বক্তব্যের পর।

বালিতে তৃণমূলের অন্দরে সংঘাত!
এদিকে, বালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের ফাটল ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। বৈশালীকে নিয়ে ক্ষুব্ধ হাওড়া পৌরনিগমের প্রাক্তন কাউন্সিলর তফজিল আহমেদ। তিনি বৈশালীকে বহিরাগত তকমা দিয়ে চলেছেন অনবরত। তিনি বলেছেন, 'বৈশালী ডালমিয়া বালির মানুষের কাছে বহিরাগত কারণ তাঁর ভোটার কার্ড এখানকার নয়। তিনি এখানে থাকেন না।'

বিতর্কিত পোস্টার ও তৃণমূল
'মাননীয়া দিদির কাছে অনুরোধ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বালিতে কোনও বহিরাগত নয়, বালির মানুষকে দলের প্রার্থী হিসাবে চাই।' পোস্টারে যদিও কারোর নাম দেওয়া হয়নি। তবে পোস্টারের নিশানায় যে বৈশালী রয়েছেন, তা স্পষ্ট হয়েছে। তবে বৈশালীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে কখনওই বহিরাগত বলা হয়নি। পোস্টার যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের টার্গেট ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতারা।