অষ্টমদিনেও অনড় আন্দোলনকারীরা, কেন্দ্র-কৃষক বৈঠকের আগে আরও গম্ভীর দিল্লি সীমান্তের পরিস্থিতি
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় আট দিন ধরে কৃষকদের বিক্ষোভ জারি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে এই বৈঠকে কথা হবে। সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায় সেই বিষয়ে তাঁর মতামত দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

দেশজুড়ে 'রাস্তা রোকো'-র কর্মসূচি
এদিকে এদিন দেশজুড়ে 'রাস্তা রোকো'-র কর্মসূচি পালন হবে অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার ডাকে। কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল ২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে এই অবরোধের ডাক দিয়েছিল তারা। দেশের প্রতিটি জেলা ও তেহসিলে এক ও দু'ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করা হবে বলে তাদের তরফে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি এক সপ্তাহ ধরে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো থেকে শুরু করে ধরনাতেও বসবে তারা। ব়্যালি, জাঠা ও সভাও করা হবে।

বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত
কৃষি আইনের বিরোধে 'দিল্লি চলো' অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা। এর জেরে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। প্রথমে বাধা দিলেও পরে চাপে পড়ে কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের নির্ধারিত স্থানে বিক্ষোভ দেখাতে হবে।

কমিটি তৈরির প্রস্তাব খারিজ
কৃষকরা তা না মানলে ১ ডিসেম্বর সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্র। সেখানে ছিলেন নরেন্দ্র সিং তোমর, পীযূষ গোয়েল এবং সোম প্রকাশ। ওইদিন বৈঠকে সরকারের তরফে একটি কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর৷ যে কমিটিতে সরকার ও কৃষক সংগঠন দু'পক্ষেরই প্রতিনিধিরা থাকবেন৷ থাকবেন কৃষি বিশেষজ্ঞরাও।

বৈঠকে কোনও সমাধান মেলে কি না এখন সেটাই দেখার
কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, প্রস্তাবিত কমিটিতে কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা হবে। বদলে বিক্ষোভ তুলে নেওযা হোক কৃষকদের তরফে। তবে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি৷ কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এরপরেই আজ ফের আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে কোনও সমাধান মেলে কি না এখন সেটাই দেখার।
জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মফুল? সৌগতকে উষ্মা প্রকাশের পর বিজেপি নেতার সঙ্গে ফোনালাপ শুভেন্দুর!