স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর জল্পনায় এবার ইতি টানছে তৃণমূল। দলীয় সাংসদ সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে সেই ইঙ্গিতই দিলেন। তাঁর কথায়, শুভেন্দুর বিষয়টি এখন ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। সম্পর্কের বরফ গলাতে দলের তরফে তাঁর সঙ্গে বারবার কথা বলছিলেন সৌগত রায়। মঙ্গলবার রাতে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের কাছে একটি বাড়িতে ওই বৈঠকে অভিষেক, শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌগত এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সৌগত দবি করেন, ‘‘সমস্ত সমস্যা মিটে গিয়েছে। শুভেন্দু জানিয়েছে, ও দল ছাড়ছে না। বিধায়ক পদও ছাড়ছে না। বাকি শুভেন্দুই পরে জানাবে।’’

তবে সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে পাঠানো এসএমএসে প্রথমেই তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দেন ‘আর একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।’ শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, তাঁর উপর ‘একতরফা ভাবে সব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে’। ঠিক হয়েছিল, তিনি ৬ তারিখ সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন। তার আগেই সৌগত প্রকাশ্যে সব বলে দিয়েছেন বলে শুভেন্দু উষ্মাও প্রকাশ করেন।

এদিকে এই মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান তৃণমূল সাংসদ।

সৌগতর দাবি, ‘যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ’ পরিবেশে আলোচনা হয়েছিল। সে কথাই তিনি ‘সত্যনিষ্ঠ ভাবে’ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তার পর শুভেন্দু যদি তাঁর অবস্থান বদল করে থাকেন, তা হলে সেটা তাঁর বিষয়। বৃহস্পতিবার সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর তরফে আর শুভেন্দু অধিকারীকে কিছু বলার নেই। উনি নিজে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। এ থেকে স্পষ্ট, আর আলোচনার কথা ভাবছে না তৃণমূল।

তৃণমূলের নেতাদের একাংশ অবশ্য এর পরেও ‘নাটকীয় পট পরিবর্তন’-এর আশা ছাড়ছেন না। কিন্তু মমতার ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের কথা অনুযায়ী, শুভেন্দুকে ছাড়াই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। বুধবার রাতে তিনি দলের এক প্রথমসারির সাংসদকে সে কথা জানিয়েও দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবারই তার প্রমাণ খানিকটা মিলেছে। এদিন তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন শুভেন্দু।

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।