তমলুক: জল্পনা জিইয়ে রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার তমলুকে ক্ষুদিরাম বসুর ১৩১তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আই অ্যাম সন অব বেঙ্গল।’’ তৃণমূল সম্পর্কে তমলুকের অনুষ্ঠান-মঞ্চ থেকে এদিন মুখ খোলেননি তিনি। দলবদল নিয়েও কোনও মন্তব্য করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

গত কয়েকমাসে একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শেষমেশ রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকেও পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুকে দলে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। দিন কয়েক আগেই কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, ‘সব মিটে গিয়েছে। দলেই আছেন শুভেন্দু।’

যদিও তাল কাটে ঠিক তার পরের দিনই। শুভেন্দু অধিকারী নাকি একটি এসএমএস পাঠান সৌগতবাবুকে। ওই এসএমএস-এ নাকি শুভেন্দু লিখেছিলেন, ‘‘আর একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়’’। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে অস্বস্তি রয়েই গিয়েছে তৃণমূলের।

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বারংবারের চেষ্টাতেও বরফ গলেনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়দের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে দিন চারেক সময় চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তার আগেই সৌগত রায় আগ বাড়িয়ে শুভেন্দু তৃণমূলেই আছেন বলায় ক্ষোভ বেড়েছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়কের৷

সেই কারণেই সৌগত রায়কে ‘একসঙ্গে কাজ করা আর সম্ভব নয়’ বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। বৃহস্পতিবার সকালে তমলুকে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর ১৩১ তম জন্মদিনকে কেন্দ্র করে অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী।

সেখানেই অনুগামীদের নিয়ে পদযাত্রায় সামিল হন তিনি। ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মালা দেওয়ার পরে হেঁটে পৌঁছে যান হ্যামিল্টন স্কুলে। উপস্থিত সাংবাদিকদের রাজনৈতিক প্রশ্নের কোনও উত্তর তিনি দেননি। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ক্ষুদিরাম বসু উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমি আসি। এবারও এসেছি।’’

দেশে এবং বিদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে টানা দু'দশক ধরে কাজ করেছেন । বাংলাদেশ থেকে মুখোমুখি নবনীতা চৌধুরী I