শ্রীনগর: গোয়েন্দা রিপোর্টে আশঙ্কা বাড়ছে। ভারত পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে বাড়ছে অনুপ্রবেশের সংখ্যা। রিপোর্ট জানাচ্ছে পাকিস্তানের মদতে ভারতে অনুপ্রবেশ চলছে অবাধে। মূলত শীতকালের সুযোগ নিয়ে পাক জঙ্গিদের এই অনুপ্রবেশ বাড়ছে।
একদিকে পাক সেনা সীমান্তে ফায়ারিং করছে, গুলি বর্ষণে ব্যস্ত রাখছে ভারতীয় সেনাকে। অন্যদিকে, সেই সুযোগ নিয়ে পাক জঙ্গিরা প্রবেশ করছে উপত্যকায়। ভারতীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত ১৩ই নভেম্বর থেকে বেড়েছে ভারত পাক গুলি বিনিময়ের পরিমাণ। প্রায় রোজই জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন সেক্টরে টানা গুলির লড়াই চলছে।
১৩ই নভেম্বরের পর থেকে ভারতের প্রায় ৯জন সেনা জওয়ান ও বিএসএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন পাক সেনার গুলিতে। এখনও পাকিস্তানের দিকে প্রায় ২৫০-৩০০ জন জঙ্গি অনুপ্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। সীমান্তে যাতে নতুন করে অশান্তি ছড়ায় ও তার প্রভাব যাতে উপত্যকায় সরাসরি পড়ে, সেই চেষ্টাই করে চলেছে পাকিস্তান বলে খবর।
সেনার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাহাড়া জোরদার করা হয়েছে। বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশের ছক বানচাল করেছে ভারতীয় সেনা। তবে তালিকার এখানেই শেষ নয়। পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে পাক সেনা।
দিন কয়েক আগেই গত ২২ শে নভেম্বর, জম্মু কাশ্মীরের সাম্বা জেলার রিগাল এলাকার পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে উদ্ধার হয় ১৫০ ফুট লম্বা টানেল। বিএসএফ জানায়, ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটাতে এই টানেল বেশ কয়েকবার ব্যবহার করা হয়েছে। বিএসএফ আধিকারিকদের মতে এই আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল অনুপ্রবেশের জন্যই জঙ্গিরা ব্যবহার করত।
মনে করা হচ্ছে নাগরোটায় যে চারজন জইশ জঙ্গি, সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই খতম হয়েছে, তারা এই টানেল দিয়েই ভারতে প্রবেশ করে। পাকিস্তান থেকে প্রায়ই জঙ্গি অনুপ্রবেশ এই টানেলের মাধ্যমে ঘটত বলে মনে করছে বিএসএফ। এই টানেলের উৎস কোথায় তা জানতেই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করে বিএসএফ। তারপর পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ে ২০০-৩০০ মিটার ভিতরে।
বিএসএফের সার্চ পার্টি জানায়, এই টানেলের মুখ পাকিস্তানে। এখান থেকেই অবাধে যাতায়াত করত পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সবচেয়ে বড় কথা, এই টানেল যেখানে শেষ হয়েছে, তার কিছু দূরেই পাক সেনা ছাউনি রয়েছে। অর্থাৎ কাশ্মীরে সন্ত্রাস চালানোর পিছনে যে পাক যোগের কথা বারবার ভারত বলে এসেছে, ফের একবার তার প্রমাণ মেলে।