ব্রিটেনের পর এবার ভারতেও কি আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিন, কী বলছে ফাইজার
বিশ্বের প্রথম করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন হিসাবে ফাইজার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে এবং বুধবার ব্রিটেন প্রথম দেশ যারা ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের রেগুলেটর মেডিসিন অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) ফাইজারকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অস্থায়ী অনুমতি দিয়েছে। বুধবারের পর এবার বৃহস্পতিবার বিশ্ব ফার্মার প্রধান সংস্থা ফাইজার জানিয়েছে যে ফাইজার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন উপলব্ধ হওয়ার সুযোগের জন্য তারা ভারতের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চায়।

ভারতের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চায়
ফাইজারের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বর্তমানে আমারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং ভারত সরকারের সঙ্গেও আমরা এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই এবং এই দেশেও যাতে নাগরিকের ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন উপলব্ধ হত পারে তার সুযোগ সন্ধান করছি।' বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে যে ভ্যাকসিন উপলব্ধতার জন্য ফাইজার সকলের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে এবং সরকারগুলির সঙ্গে খুব কাছ থেকে কাজ করতে আগ্রহী তারা।

চুক্তিবদ্ধ সরকারকেই দেওয়া হবে ভ্যাকসিন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই মহামারির সময়ে, ফাইজার শুধুমাত্র চুক্তিবদ্ধ সরকারের মাধ্যমে এবং সম্পর্কিত সরকারী কর্তৃপক্ষ এবং নিম্নলিখিত নিয়ন্ত্রক অনুমোদন বা অনুমতির পরই এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।' ব্রিটেনের নিয়ামক সংস্থা এমএইচআরএ কোভিড-১৯ এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য সাময়িক অনুমোদন দিয়েছে। ফাইজার বুধবার জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল প্রমাণ করেছে যে এটি মহামারির সঙ্গে লড়তে সহায়তা করবে, তারপরই প্রথম জরুরি অনুমোদন পায় এই ভ্যাকসিন। ফাইজারের চেয়াম্যান ও সিইও আলবার্ট বৌলা বলেন, ‘আমরা আরও অনুমোদন ও অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে, নিরাপদে বিশ্বজুড়ে উচ্চমানের ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য একই পর্যায়ের তাৎপর্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছি।'

ফাইজারের ভারতে আসতে সময় লাগবে
নভেম্বরে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পাল, যিনি কোভিড-১৯-এর জাতীয় টাস্ক ফোর্সের প্রধান জানিয়েছিলেন যে দেশে ফাইজারের ভ্যাকসিন আসতে আরও কয়েক মাস সময় নেবে। তিনি এও বলেছিলেন, ‘ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন যা মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে সংরক্ষণ করে রাখা যায়, তার ব্যবস্থা করা বেশ চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ভারতের কাছে। আর এটা কোনও দেশের পক্ষেই অত সহজ নয়। কিন্তু এরপর তা যদি আমাদের দেশে নিয়ে আসতেই হয়, তবে আমরা খতিয়ে দেখছি কি করণীয় এবং আমাগের কৌশল বের করছি।' ভারতে বর্তমানে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য দু'সপ্তাহের মধ্যে আবেদন করবে।

দেশের অন্যান্য ভ্যাকসিন
অন্যদিকে ভারতের দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হওয়া ভ্যাকসিন প্রার্থী ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এছাড়াও জাইদাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন দ্বিতীয় স্তরের ট্রায়াল শেষ করে ফেলেছে, ফার্মা প্রধান ডাঃ রেড্ডির ল্যাবরেটরিতে রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-এর দ্বিতায় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল একসঙ্গে চলছে।
আরও চাপে বিজেপি! কৃষি আইনের প্রতিবাদে পদ্ম পুরষ্কার ফেরালেন অকালি প্রধান সুখদেব সিং ধিন্দসা