সপ্তম দিনে কৃষক আর্তনাদ, 'সুট-বুটের মিথ্যাবাদী সরকার'-কে ফের তোপ রাহুল গান্ধীর
দিল্লি সীমান্ত পয়েন্টে কৃষকদের দ্বারা বিক্ষোভ সপ্তম দিনে পড়ল। এখনও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। প্রসঙ্গত, কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল দেশ। এই পরিস্থিতির রাজনৈতিক ফায়দা তুলে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। এর ফলে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রকে তোপ দাগছিলেন রাহুল গান্ধী।

কী বলেন রাহুল
এদিন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে টুইট বার্তায় লেখেন, 'কেন্দ্র বলেছিল কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করে দেবে। আসলে তা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। উল্টে সরকারের বন্ধুদের আয় বেড়েছে চারগুণ। এই সরকার মিথ্যআবাদী। এই সরকার সুট-বুটের সরকার।'

বন্ধ করা হয়েছিল রাজধানীর আরও তিনটি সীমানা
এর আগে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক আন্দোলনের ষষ্ঠদিনে বন্ধ করা হয়েছিল রাজধানীর আরও তিনটি সীমানা। সতর্কতা মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির সঙ্গে সংযুক্ত গুরগাঁও এবং ঝাঝর-বাহাদুরগড় বর্ডার। যার জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বহু স্তরীয় ব্যারিকেড দিল্লি সীমান্তে
পাশাপাশি দিল্লিতে ঢোকার প্রতিটি বর্ডারে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বহু স্তরীয় ব্যারিকেড রয়েছে। এরই সঙ্গে সিঙ্ঘু এবং টিরকি বর্ডারসহ দিল্লির মোট পাঁচটি বর্ডার পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য গতকালই কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তবে কৃষি আইন প্রত্য়াহারের দাবি কেন্দ্রের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়৷

দিল্লিতে প্রবেশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়
এদিকে আলোচনায় কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। উল্টে তাঁরা জানিয়ে দেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে এভাবেই চলবে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার আরও একটি বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র বের না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি৷ সেইমতো দিল্লিতে প্রবেশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷

'দিল্লি চলো'-র ডাকে নাজেহাল কেন্দ্র
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন নিয়ে কয়েকদিন আগেই 'দিল্লি চলো'-র ডাক দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। এই আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। প্রথমে বাধা দেওয়া হলেও পরে চাপে পড়ে কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু, জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের নির্ধারিত স্থানে বিক্ষোভ দেখাতে হবে।

রাজধানীগামী রাস্তা অবরোধ জারি থাকবে
কেন্দ্রের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। কারণ তাঁদের বক্তব্য, যেই বুরারি মাঠে তাঁদেরকে যেতে বলা হচ্ছে তা আসলে সরকারের একটি 'খোলা কারাগার'। তাঁরা এখনও জন্তরমন্তরে প্রতিবাদ প্রদর্শন করার বিষয়ে অনড়। সেই প্রস্তাব না মানা হলে তাঁরা রাজধানীগামী রাস্তা অবরোধ জারি রাখবে বলে হুঁশিয়ারি।
এবার বঙ্গ রাজনীতির ক্রিজে নামবেন কলকাতার মন জয় করা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক