স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি না এলেও দলের কোনও ক্ষতি হবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের পর এমনই বক্তব্য বঙ্গ বিজেপির।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। সম্পর্কের বরফ গলাতে বারবার কথা বলছিলেন সৌগত রায়। মঙ্গলবার রাতে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের কাছে একটি বাড়িতে ওই বৈঠকে অভিষেক, শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌগত এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ছিলেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও।
বৈঠকের পর সৌগত দাবি করেন, ‘‘সমস্ত সমস্যা মিটে গিয়েছে। শুভেন্দু জানিয়েছে, ও দল ছাড়ছে না। বিধায়ক পদও ছাড়ছে না। বাকি শুভেন্দুই পরে জানাবে।’’ জানা যায়, বৈঠকের মাঝে অভিষেকের ফোন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা শুভেন্দু অধিকারীর। অভিষেকের তরফে ‘আন্তরিক ভাবে’ একসঙ্গে দল চালানো এবং কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
এরপরই শুভেন্দু প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু তৃণমূলে থাকলেও বিজেপি ধাক্কা খাবে না। উনি বিজেপিতে এলে স্বাগত। দরজা খোলা আছে। আর উনি না এলেও বিজেপি ২০০’র বেশি আসন নিয়ে সরকার করবে।”
একই বক্তব্য কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র। তিনি বললেন, “ভাইপোর (পড়ুন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ছিলেন শুভেন্দু। তিনি কারও কাছে মাথা ঝোঁকাবেন বলে আমি মনে করি না। শুভেন্দু এলে দলে প্রাপ্য সম্মান পাবেন। না এলেও সরকার আমরাই গড়ব।”
তবে সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে পাঠানো এসএমএস-এ প্রথমেই তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন শুভেন্দু। জানিয়েছেন ‘আর একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।’ একইসঙ্গে ক্ষোভের একাধিক কারণও তুলে ধরেছেন তিনি। এই মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান সৌগত রায়। ইতিমধ্যে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উলটো দিকে শুভেন্দু অধিকারীর এই অবস্থান সামনে আসার পর নতুন করে উজ্জিবীত বিজেপি শিবির। ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের কটাক্ষ, “সৌগতদার বয়স হয়েছে। কাল কী হয়েছে বুঝতে ভুল করেছেন।”