সংশয় রয়েছে তাই ৫৯% ভারতীয়র ভ্যাকসিন গ্রহণে তাড়াহুড়ো নেই, দাবি সমীক্ষার
করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের আসার সম্ভাবনা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, কিন্তু ৫৯ শতাংশ ভারতীয় জানিয়েছেন যে তাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও তাড়া নেই। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। লোকাল সার্কেল নামে এক সংস্থা ২৬২টি জেলায় অনলাইন সমীক্ষা করে, যেখানে ২৫ হাজার মানুষ তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৬৯ শতাংশ ও মহিলাদের সংখ্যা ৩১ শতাংশ। এই একই ধরনের সমীক্ষা করা হয়েছিল অক্টোবরেও।

ভ্যাকসিন গ্রহণ নিয়ে ভারতীয়দের মতামত
ভারত সহ বিশ্বজুড়ে বৈজ্ঞানিকরা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন যা একন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এই সমীক্ষায় প্রথম প্রশ্ন করা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বেসরকারি ও সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে। যদি তা হয় তবে আপনার এই ভ্যাকসিন গ্রহণের পদ্ধতি কী হবে?' এই প্রশ্নে ৮,৯৩৬ জন সাড়া দিয়েছেন। যার মধ্যে ৮ শতাংশ বলেছেন, ‘আমি একজন স্বাস্থ্য বা সামনের সারির কর্মী এবং সরকারের মাধ্যমে এই অগ্রাধিকার পাবো।' ১৩ শতাংশের মতে, ‘যে কোনও স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন উপলব্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব নিতে চাই।' ১১ শতাংশ বলেছে, ‘বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমে যখনই এটি পাওয়া যাবে তাঁরা দ্রুত এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে চান।' তবে এঁদের একেবারে উল্টো পথে হেঁটেছে ৫৯ শতাংশ মানুষ। তাঁদের মতে, ভবিষ্যতে করোনা ভ্যাকসিন উপলব্ধ হলেও তাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও তাড়া নেই।

অক্টোবরের পর থেকে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের দৃষ্টিভঙ্গী বদল হয়নি
লোকাল সার্কেল দ্বারা অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালিত সমীক্ষার ফলাফলের তুলনায় বেশিরভাগ নাগরিকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে সংশয়বাদী ধারণাটির তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। সেই সময়ও ৮,৩১২ জনের মধ্যে ৬১ শতাংশ জানিয়েছিলেন যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে তাঁদের সংশয় রয়েছে এবং ২০২১ সালে তা উপলব্ধ হলেও তা গ্রহণের কোনও তাড়া নেই তাঁদের।

কালো বাজারির ঝুঁকি
জুলাইতে লোকাল সার্কেলের মাধ্যমে ভাতীয়রা ভ্যাকসিন নিয়ে কালো বাজারি রুখতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সিরিয়াল নম্বর ট্র্যাকিং নিয়ে সরব হয়েছিলেন। যাতে এই ট্র্যাকিং সিরিয়াল নম্বরের মাধ্যমে উৎপাদনের স্থান থেকে প্রশাসনিক জায়গায় যাওয়ার বিষয়টি ট্র্যাক করা যায়। ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম এবং সরকার উভয়েরই এখান প্রয়োজনীয় মূল পদক্ষেপটি হল বিভিন্ন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রতি পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিকদের অবগত রাখা, যাতে কোনও নিরাপদ ভ্যাকসিন উপলব্ধ হলে, ভারতীয় নাগরিকরা এটি নিতে প্রস্তুত থাকে।

৮ মাসের মহামারি
কোভিড-১৯-এর আট মাসের দীর্ঘ এই লকডাউনে মানসিকভাবে কী অনুভব করলেন? জিজ্ঞাসা করেছিল লোকাল সার্কেল। ৮,৫৯০ জনের মধ্যে ৩৩ শতাংশ জানিয়েছে তাঁরা সেই সময় চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন ছিলেন, ১৯ শতাংশ শান্ত ও খুশি ছিলেন, ১৩ শতাংশ অবসাদে, ৫ শতাংশ উদ্দীপনায় ভরপুর, ২০ শতাংশ কৃতজ্ঞ এবং ১০ শতাংশ কোনটাই নয় বলে জানিয়েছিলেন।
২ ডিসেম্বর সোনা- রুপোর দামে হু হু করে পতন! কলকাতায় বিয়ের মাসে দর কোথায়