বিহারে নবগঠিত সরকারে থেকে বিজেপিকে অনবরত খোঁচা নীতীশের! সুশীল ইস্যুতে পারদ তুঙ্গে
একজোট হয়ে বিহারে সরকার গড়েছে এনডিএ। বিজেপির সঙ্গে গোবলয়ের দল জেডিইউ সমান তালে পাল্লা দিয়ে লড়েও, রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের থেকে বেশি আসন পায়নি। আর সেখানেই বিজেপির ওপর ক্ষোভ নীতীশ কুমারের জেডিইউএর। সরকারে থাকা দলের এই ভোট কমতিরে নেপথ্যে এলজেপিকে বিজেপির ছাড় দেওয়ার ঘটনাকে আজও দায়ী করছেন জেডিইউ নেতারা। এদিকে, নব গঠিত বিহার সরকারে বেসুরো সুর প্রায়ই উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গ সুশীল মোদী এবং নীতীশ বক্তব্য
বিহারের রাজনীতিতে এককালে কান পাতলেই জানা যাচ্ছিল যে নীতীশের প্রাক্তন ডেপুটি বিজেপির সুশীল মোদী কতটা নীতীশ ঘনিষ্ঠ। আর জেডিইউ নেতার সঙ্গে বিজেপি নেতার এই ঘনিষ্ঠতাই মেনে নিতে পারছিল না বিহার বিজেপি। অগত্যা বিহারের রাজনীতি থেকে দূরে সুশীল মোদীকে আপাতত রাজ্যসভার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। আর তাতেই খানিকটা ক্ষুব্ধ নীতীশ কুমার।

নীতীশের দাবি
'আমাদের কী ইচ্ছে ছিল,তা আগেই সকলের জানা আছে। এখন তারা (বিজেপি) চাইছে ওঁকে (সুশীল মোদী) কেন্দ্রের দিকে নিয়ে যেতে। তবে আমরা আশাবাদী ওঁর কার্যকারিতা বিহারে দেখা যাবে।' এই বক্তব্য দিয়ে নীতীশ কুমার কার্যত সাফ করে দেন যে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি সুশীল মোদীকেই বারবার চেয়েছেন।তবে তাতে বিজেপির নেতৃত্বই বাধ সাধে।

সাংসদ পদ সুশীলের কাছে নতুন চমক নয়!
বিজেপি মূলত দেখাতে চাইছে বিহারের রাজনীতি থেকে তুলে এনে সুশীল মোদীর মতো নেতাকে তারা দিল্লির রাজনীতিতে প্রতিস্থানপিত করছে। তবে সাংসদ পদ সুশীল মোদীর কাছে বড় বিষয় নয়। সুশীল মোদী এর আগে ভাগলপুর থেকে সাংসদ হয়ে লোকসভায় যান। ফলে তাঁর রাজ্যসভা আসন নতুন করে সুশীল মোদীর রাজনৈতিক রাস্তায় বিস্তর পার্থক্য আনবে না। এই বার্তা স্পষ্ট করেছেন খোদ নীতীশও।

রাজ্য়সভা আসন নিয়ে পাল্টা তেজস্বী শিবির চাঙ্গা
রাজ্যসভায় রামবিলাস পসোয়ানের প্রয়াণের পর তাঁর খালি আসনটি নিয়ে হবে নির্বাচন। এদিকে, সেই আসনে বিজেপি সুশীল মোদীকে বসিয়ে নীতীশের নিশ্চিত ভোট জিতে নেওয়ার দিকে যেমন তাকিয়ে, তেমনই অন্যদিকে এই আসনে রামবিলাস পত্নী রীনাকে বসানোর প্রস্তাব দেয় তেজস্বীর আরজেডি। তাহলে তারা রামবিলাসপুত্র চিরাগদের শিবিরকে সমর্থন করবে বলেও জানিয়ে দেয়। তবে তাতে সায় দেননি চিরাগ। ফলে আসন বিজেপির সুশীল কুমার মোদীর দিকে যাচ্ছে। যার হাত ধরে সুশীল বিহারের রাজনীতি থেকে দূরে চলে যাবেন বলে মনে করছেন অনেকেই।