বিজেপিতে ভাল নেই বাবুল! জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে পাল্টা নিশানা করে যা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
ভোটে জিতে সরকার গঠন যেন নতুন দলগঠনের খেলায় পরিণত হয়েছে রাজ্যে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে দলবদলের কথা। তৃণমূল (trinamool congress) ও বিজেপির (bjp) হেভিওয়েট নেতাদের কথা। কোনও দলের হেভিওয়েট নেতা বিপক্ষ দলের হেভিওয়েট নেতার নাম করে বলছেন, তিনি দলবদল করতে চান। জবাব দিচ্ছেন সেই নেতাও। পশ্চিম বর্ধমানে জিতেন্দ্র তিওয়ারি (jitendra tiwari) এবং বাবুল সুপ্রিয়কে (babul supriya) নিয়ে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় পরীক্ষার সঙ্গে কমল সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা! মৃত্যুতে তৃতীয়স্থানে বাংলা

তৃণমূলের জনসভা থেকে বাবুলকে আক্রমণ
পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার তিনি পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূলের সভা থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে নিশানা করেন। সেখানে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি সাংসদ তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, বিজেপিতে তাঁর ভাল লাগছে না। কেননা সেখানে বাঙালি কালচাল নেই। তৃণমূলের সভা থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বাবুল সুপ্রিয়কে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আহ্বান জানান।

পাল্টা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে কটাক্ষ
এব্যাপারে বাবুল সুপ্রিয়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ছোটখাটো নেতা বলে কটাক্ষ করেন। বাবুল সুপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এঁদের কথার কোনও ভিত্তি নেই আর সত্যতাও নেই। এইসব নেতার কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কোনও দরকার নেই বলেও জানান তিনি।

লকেট ও কল্যাণকে নিয়ে একই কথা
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, গলার লকেট পায়ের নুপুরে পরিণত হয়েছে। পাল্টা লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন উনি মহিলাদের নামে যেভাবে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা ভাষায় বোঝানো যায় না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। উনি নিজেকে টিকিয়ে রাখতে দিদিকে খুশি করার জন্য এই ধরনের কথা বলছেন। উনিও বিজেপির লাইনে আছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূলে যোগ দেবেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। না হলে ২০২৪-এ হুগলির আসন টিকিয়ে রাখতে পারবেন না তিনি।

দলবদলে ভারী বিজেপি
তবে যেদিকেই দলবদল হোক না কেন ভারী বিজেপির দিকেই। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে কোচবিহার দক্ষিণের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এছাড়াও শীলভদ্র দত্তের মতো একের পর জনপ্রতিনিধি প্রশান্ত কিশোরের কাজ নিয়ে দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন। আর বিজেপিও চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে এইসব নেতাদের নিজেদের দিকে টানতে।