দার্জিলিং নিয়ে নিজেই 'ব্যবস্থা' নেবেন ধনকড়, অন্য মাত্রায় পৌঁছবে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত!
উত্তরবঙ্গ সফর শেষে কলকাতা ফেরার পথে ফের একবার রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিঁধলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তিনি আজ সাফ জানিয়ে দেন, এক মাসের দার্জিলিং সফরে তিনি জিটিএ নিয়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখেছেন৷ কলকাতা ফিরে তিনি এ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য় দুই সরকারের সঙ্গেই আলোচনা করবেন৷ নিজেকে সংবিধানের প্রহরী দাবি করে, তাঁর মন্তব্য, 'সংবিধান রক্ষায় কাজ করে যাব৷'

জিটিএর অডিটই হয়নি
আজ প্রায় একমাস পর উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতায় রাজভবনে ফিরছেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়৷ আর ফেরার পথে মালদা স্টেশনে জিটিএ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁকে৷ তিনি বলেন, 'জিটিএর জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ করা হয়৷ কিন্তু আমি সেখানে দেখেছি, জিটিএর অডিটই হয়নি৷'

'কোথায় কত টাকা খরচ হয়েছে, কেউ জানে না!'
রাজ্যপাল বলেন, 'কোথায় কত টাকা খরচ হয়েছে, কেউ জানে না৷ মানুষ আমার কাছে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছে৷ পাহাড়ের মানুষ এখনও ঠিকমতো পানীয় জল পায় না৷ সেই ব্যবস্থা সেখানে করা হয়নি৷ তাই খুব তাড়াতাড়ি জিটিএর অডিট করতেই হবে৷ আমি আজ কলকাতা যাচ্ছি৷ কলকাতা ফিরেই আমি এব্যাপারে ব্যবস্থা নেব৷'

ভোট দেওয়া মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার
তিনি আরও বলেন, 'পাহাড়ে একশোর বেশি পঞ্চায়েত রয়েছে৷ অথচ দুই দশক ধরে পাহাড়ের মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি৷ তাদের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা নেই৷ অথচ ভোট দেওয়া মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার৷ এনিয়েও আমি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে জানাব৷'

সরকারি আধিকারিকদেরকে রাজ্যপালের অনুরোধ
এদিন কলকাতা ফেরার আগে রাজ্যপাল আবারও পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন৷ তিনি বলেন, 'এই রাজ্যে এখন পুলিশ ও প্রশাসনের অবস্থা খুবই খারাপ৷ এখানে শাসকদলের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অ্যাকশন মোডে চলে যায়৷ আমি সরকারি আধিকারিকদের অনেক অনুরোধ করেছি৷'

'সরকারি ক্ষেত্রে পুরোপুরি রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে'
তিনি বলেন, 'তাঁদের আবেদন করেছি, তাঁদের কাজ ভারতীয় গণতন্ত্র অক্ষুন্ন রাখা৷ আইন এবং সংবিধানকে সম্মান জানানো সরকারি কর্মীদের দায়িত্ব৷ কোনও রাজনৈতিক দলের কথা মেনে চলা, তাদের কথায় প্রশাসন চালানো সরকারি আধিকারিকদের কাজ নয়৷ কিন্তু এই রাজ্যে সরকারি কর্মীদের বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের কথামতো চলতে বাধ্য করা হয়৷ এখানে সরকারি ক্ষেত্রে পুরোপুরি রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে৷'