সিদ্ধান্তে অটল আন্দোলনকারী কৃষকরা, নয়াদিল্লির হিমঘরে বসে সমাধান সূত্র পাচ্ছে না কেন্দ্র!
দেশের ৩২ টি কৃষি সংগঠন কে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এমন এক পরিস্থিতিতে এদিন দুপুর ৩ টে নাগাদ বৈঠকে বসে পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে 'দিল্লি চলো' র ডাক দেওয়া কৃষক সংগঠনগুলি একটি রূপরেখা স্থির করবেন বলে খবর। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, ৩২ টি কৃষক সংগঠন নয়, ডাকতে হলে ডাকতে হবে দেশের সবকটি কৃষি সংগঠনকে।

আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে ৩০টি সংগঠন
এদিকে এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে আমন্ত্রিত ৩২টি সংগঠনের মধ্যে ৩০টি সংগঠন কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে। আলোচনার টেবিলে বসতে অস্বীকার করছে ২টি সংস্থা। এদিকে উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের সঙ্গে গাজিয়াবাদ-দিল্লি সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের আগেই আবার জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহরা বৈঠকে বসেন নিজেদের মধ্যএ আলোচনা করতে।

৩ ডিসেম্বর দেশজুড়ে 'রাস্তা রোকো'-র ডাক
নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক সংগঠনগুলির বিক্ষোভে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। ইতিমধ্যেই বুরারিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর যে প্রস্তাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছিলেন তা মেনে নেয়নি কৃষক সংগঠনগুলি। এবার ৩ ডিসেম্বর দেশজুড়ে 'রাস্তা রোকো'-র ডাক দিল অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা। কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল ২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে এই অবরোধের দিয়েছে তারা।

সপ্তাহ ধরে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হবে
৩ ডিসেম্বর প্রতিদিন দেশের প্রতিটি জেলা ও তেহসিলে এক ও দু'ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করা হবে বলে তাদের তরফে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি এক সপ্তাহ ধরে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো থেকে শুরু করে ধরনাতেও বসবে তারা। ব়্যালি, জাঠা ও সভাও করা হবে।

কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লি সীমান্তে পৌঁছেছেন
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে চলা কৃষকদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে এই 'রাস্তা রোকো'-র ডাক দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লি সীমান্তে পৌঁছেছেন। খারাপ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড থেকে কৃষকরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।