দলে অবিশ্বাস বাড়িয়ে বিজেপিকে সুযোগ করে দিচ্ছেন! কল্যাণের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল সাংসদ, জল্পনা চরমে
নারদ নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan banerjee) মন্তব্য করে বিজেপিকে (bjp) সুযোগ করে দিচ্ছেন। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনই ক্ষোভ উগরে গিলেন তৃণমূলের অপর সাংসদ অপরূপা পোদ্দার( aparupa poddar)। তিনি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তি আক্রমণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্য
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন তাঁর সাধারণ সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, ঠিক তেমনই তিনি মন্তব্য করেছেন, যাঁরা নারদা, সারদায় অভিযুক্ত, তাঁরা সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যাবেন। যা নিয়ে তৃণমূলে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। এর আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে বেইমানস সুবিধাবাদী বলে আক্রমণ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, যাঁরা নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে না তাঁরা কাপুরুষ।

কল্যাণের মন্তব্য নিয়ে সরব অপরূপা
এদিন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন আরামবাগের অপর তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, দলের কোনও সিনিয়র নেতা যদি বলেন, যাঁরা নারদা, সারদাতে যুক্ত আছেন, তাঁরা বিজেপিতে চলে যাবেন। তাঁর প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্ট কি বলে দিয়েছে, এঁরা দোষী। দুই মামলাই এখনও আলাদতের বিচারাধীন। তিনি বলেন এই ধরনের মন্তব্য ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের মন্তব্য করে বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। মন্তব্যের মাধ্যমে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য উসকে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ করাও ঠিক নয়। পুরো বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অপরূপার আশা, শীর্ষ নেতৃত্ব এব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তাঁর প্রশ্ন বিজেপিতে গেলে কি সবাই শুদ্ধ হয়ে যায়?

একাধিক অভিযুক্ত এখনও রয়েছেন তৃণমূলে
নারদ কাণ্ডে স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের অনেক নেতাকেই দেখা গিয়েছিল। ( যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলি)। সেই তালিকায় থাকা মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তা ছাড়া সম্প্রতি নোটিশ পাঠানো ফিরহাদ হাকিম, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। জুলাই মাসে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল অপরূপা পোদ্দার, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁরাও এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। এঁদের মধ্যে যদিও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূল প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে।

মন্তব্যে নারাজ বাকি অভিযুক্তরা
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি অন্য অভিযুক্তরা। তবে তাঁরা ঘনিষ্ঠ মহলে বলছেন, অই ধরনের মন্তব্য করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে দলের মধ্যে অবিশ্বাস বাড়ছে বলেও মন্তব্য করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত এর আগে মন্ত্রী থাকার সময়ে শুভেন্দু অধিকারী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে বলেছিলেন, কোনও জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে অশালীন আক্রমণ কাম্য নয়।
২০২১-এর লক্ষে পরিকল্পনা বিজেপির! রাজ্যের পাঁচ জোনের দায়িত্বে আরও আরও পাঁচ সাধারণ সম্পাদক সংগঠন