মমতার বাংলায় সম্ভব, মোদী-শাহর 'ভারতে' নয়! কেন্দ্রকে কোন চ্যালেঞ্জ ডেরেকের?
ফের কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূল কংগ্রেসের। এদিন কৃষক আয় নিয়ে বিজেপির করা প্রতিশ্রুতি নিয়ে তোপ দাগেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েনের। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নাম করে সরাসরি আক্রমণ শানান ডেরেক। কৃষকদের করা বিজেপির 'ফাঁকা প্রতিশ্রুতি'-র উপর আলোকপাত করেন তৃণমূল নেতা।

৯ বছরে রাজ্যে তিনগুণ হয়েছে কৃষকদের আয়
এদিন এক টুইট বার্তায় ডেরেক লেখেন, 'মিত্র, মোদী-শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে কেন্দ্র দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেবে ২০২২ সালের মধ্যে। তবে বর্তমান হারে চলতে থাকলে ২০২৮ সালের আগে তা কোনও ভাবেই করা সম্ভব নয়। এরই মাঝে দিদির বাংলায় কৃষকদের আয় গত ৯ বছরে তিনগুণ হয়েছে।'

কতটা বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে কেন্দ্রের?
এই টুইট বার্তার সঙ্গে ডেরেক রাজ্যসভায় তাঁর একটি ভাষণের ভিডিও আপলোড করেন। তাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আপনি কতটা যোগ্য? এত যে লম্বা লম্বা ভাষণ আপনারা দেন; আমি আপনাকে জজ্ঞাসা করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বিরোধী দলগুলি নাকি কৃষকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আচ্ছা? এবার দেখি তো আপনাদের এই ভাষণ রাখার কী বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে? আপনারা কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন ২০২২ সালের মধ্যেই তা হবে।'

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন
এরপর তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'বর্তমান হার অনুযায়ী কোনও ভাবেই ২০২৮ সালের আগে তা সম্ভব নয়। আমিও তো বড় বড় কথা বলতে পারি। কিন্তু বাংলায় ২০১১ সালে কৃষকদের আয় ছিল ৯০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার হয়েছে। অর্থাৎ ৯ বছরে কৃষকদের আয় তিনগুণ হয়ে গিয়েছে। শুধু প্রতিশ্রুতিনয়, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন। আমাদের ভাষণ শোনাবেন না।'

কৃষি আইন নিয়ে তুঙ্গে তরজা
এদিকে, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের ডাকা 'দিল্লি চলো' অভিযানে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। এই বিক্ষোভের মাঝে অমিত শাহ শর্ত দিয়েছিলেন, যদি তাঁরা সরকার নির্ধারিত স্থানে গিয়ে আন্দোলন করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন। এই প্রস্তাবের পরই আলোচনায় বসেছিল বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি। তবে অমিত শাহর শর্ত খারিজ করে দেন কৃষকরা। এরপরই দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
ঝড়ের আগের নীরবতা! নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর 'হরেকৃষ্ণ নামে' মিলল কোন ইঙ্গিত?