শুভেন্দুর পক্ষে কিন্তু মমতার বিপক্ষে নয়, মাত্র ১০ বছরেই দু’ভাগ নন্দীগ্রামের তৃণমূল
বাংলায় পালাবদলের ক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের আন্দোলন বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার পিছনে নন্দীগ্রামের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সেই নন্দীগ্রামই এখন দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূলকে নিয়ে। আর তৃণমূলে এই বিভাজনের মূল কারণ হলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুর পক্ষে কিন্তু মমতার বিপক্ষে নয়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ছিলেন অন্যতম মুখ। উভয়ের কারও অবদানই এই আন্দোলনে কম নয়। তা অস্বীকার করেন না কেউই। তবু নন্দীগ্রাম দিদি ও দাদাকে নিয়ে দু-ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক পক্ষ ঘোর শুভেন্দু বিরোধী। অন্য পক্ষ শুভেন্দুর পক্ষে কিন্তু মমতার বিপক্ষে নয়।

শুভেন্দু বিজেপিতে গেলে তৃণমূলের ভোট বাড়বে
এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সামনের সারিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন সেখ সুফিয়ান। তিনি প্রবল শুভেন্দু বিরোধী বলে খ্যাত। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি। তিনি বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যাই সব, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গেলে তৃণমূলের কেনও ক্ষতি হবে না, বরং ভোট বাড়বে।

মমতার মতো শুভেন্দুরও কোনও বিকল্প নেই
সেখ সুফিয়ানের পাশাপাশি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের আর এক মুখ আবু তাহের। তিনি শুভেন্দু অধিকারী অনুগামী বলে পরিচিত। তিনি মনে করেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে থাকুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার দাদার সঙ্গে কথা বললেই সব সমস্যা মিটে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেমন কোনও বিকল্প নেই, তেমনই শুভেন্দু অধিকারীরও কোনও বিকল্প নেই।

নন্দীগ্রামের অরাজনৈতিক সভায় তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিতে জল্পনা
শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই নন্দীগ্রাম দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। শুভেন্দুর দলবদলের জল্পনা প্রত্যেকদিনই বাড়ছে। মহিষাদলে কিছু না বললেও নন্দীগ্রামের অরাজনৈতিক সভা থেকে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে বলেছেন, তিনি এবার সেই পথ বাছবেন, যে পথে তিনি হোঁচট খাবেন না! তাতেই বেড়েছে জল্পনা।