কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে পুরীতে পঞ্চতীর্থের পবিত্র স্নানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি
কোভিড–১৯ মহামারির কারণে এ বছর পুরীতে কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে পঞ্চতীর্থের পবিত্র পুকুরে স্নান করা থেকে ভক্তদের বিরত থাকতে বলেছেন জেলা প্রশাসন। প্রত্যেক বছর কার্তিক পূর্ণিমার দিন একশোরও বেশি ভক্ত ব্রত করেন, ইন্দ্রাদিযমুনা, মরকন্দা, নরেন্দ্র, শ্বেত গঙ্গা ও মহোদাদির মতো পবিত্র পুকুরে স্নান করেন, যা মনে করা হয় পঞ্চতীর্থ দর্শন করা হল এবং ভক্তরা রাজ্যের গৌরবময় সমুদ্র ইতিহাস বর্ণনা করে বোটা বন্দনার ঐতিহ্য চিহ্নিত করতে জলে ছোট ছোট নৌকাও ভাসান। এই পুকুরগুলিতে স্নান করার পর ভক্তদের ঢল নামে শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে দ্বাদশ শতাব্দীর মন্দির গর্ভগৃহের রত্নসিমহাসনের সুনাবেশ (রাজরাজেশ্বর বেশ) দেখার জন্য। এই শ্রীমন্দির ভক্তদের জন্য গত ২০ মার্চ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভক্তদের অনুপস্থিতিতেই সুনাবেশের রীতি সেবায়তদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন করা হয়।

পঞ্চতীর্থে ভক্তদের জমায়েত বন্ধ করতে প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের প্রকোপে এ বছর বোটা বন্দনার রীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে জমায়েত রুখতে। যদিও গত আটমাসে এই প্রথমবার রবিবার পুরী শহর থেকে কোনও করোনা কেসের খবর রিপোর্ট হয়নি। গোটা জেলা জুড়ে ১৫টি পজিটিভ কেস রয়েছে। একনও পর্যন্ত পুরিতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ১৩,৫৪২, যার মধ্যে ১৩,২৫২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ১০১ জন মারা গিয়েছেন।
সোমবার মহাপ্রসাদ রান্না করতে গিয়ে শ্রীমন্দির চত্ত্বরের মন্দিরের কুয়োয় পড়ে আহত হন এক ব্যক্তি। আহত ব্যক্তির নাম ভাগি পাণ্ডা, তাঁকে তৎক্ষণাত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাংর মাথায় চোট লেগেছে। জগতসিংপুরের ১৪ মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।