নয়াদিল্লি : ভোকাল ফর লোকাল বা আত্মনির্ভর। নরেন্দ্র মোদীর দেখানো রাস্তায় হেঁটে রেলমন্ত্রক জানিয়ে দিল দেশের বুলেট ট্রেনগুলির উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৭২ শতাংশ বরাত পাবে দেশীয় কোম্পানিগুলি। মুম্বই-আহমেদাবাদের মধ্যে যে বুলেট ট্রেন ছুটবে, তা তৈরির দায়িত্ব পড়বে দেশীয় কোম্পানিগুলির ওপরেই বলে জানিয়েছে রেল।
রেলমন্ত্রকের দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদীর আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের সঙ্গে এভাবেই যুক্ত হতে চান তাঁরা। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানান ইতিমধ্যেই সিগন্যালিংয়ের কাজ, ব্রিজের টেকনিক্যাল কাজ বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থাকে টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জাপানি কিছু সংস্থা টেলিকম ও রোলিং স্টকের কাজ শুরু করেছে।
অ্যাসোচেমের এক ওয়েবিনারে যাদব জানান, ৫০৮ কিমি হাই স্স্পিড রেল করিডোরের প্রজেক্টে ধার্য করা হয়েছে ১.১০ লক্ষ কোটির বাজেট। মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য মোট ১,৩৭৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে গুজরাটে রয়েছে ৭২৪.১৩ হেক্টর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি। মহারাষ্ট্রে রয়েছে ২৭০.৬৫ হেক্টর। এর মধ্যে শুধুমাত্র পালঘর জেলাতেই রয়েছে ১৮৮ হেক্টর। ওই এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাঁদের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকার সেই ক্ষতিপূরণ দেবে।
কথা ছিল ২০২৩ সালে মুম্বই আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে জমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য কাজ শেষ করা যায়নি, একই অবস্থা দরপত্র খোলার ক্ষেত্রে। ফলে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে দেরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ৬৩ শতাংশ অধিগ্রহণ করতে পেরেছে।
প্রকল্পের আধিকারিকদের বক্তব্য, মহারাষ্ট্রের পালঘর এবং গুজরাটের নবসারির জমি এখনও অধিগ্রহণ করা হয়নি। তাছাড়া এই ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন গত বছর ৯টি সিভিল ওয়ার্কের দরপত্র নিয়েছিল। কিন্তু করোনা যেভাবে মহামারীর আকার ধারণ করেছে তার ফলে ওই দরপত্র খোলা সম্ভব হয়নি।
এই সংস্থার কর্তার মতে, প্রকল্পের উপর করোনার প্রভাব পড়ছে ফলে এর কাজ কতদিনে শেষ হবে তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। যদিও পাশাপাশি তার বক্তব্য, ২০২৩ সালকে মাথায় রেখেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রসঙ্গত মুম্বই আহমেদাবাদ এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ৫০৮.১৭ কিলোমিটার।