মুজফ্ফরনগর( উত্তর প্রদেশ): সরকারকে বাতিল করতেই হবে কৃষি নীতি। এই নীতি কর্পোরেট ব্যবসার সুফল দেবে। কৃষকদের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। মূলত এই দাবিতেই সারা ভারত কৃষক সভা (এআইকেএস) নেতৃত্বে আরও কিছু কৃষক সংগঠনের যে বিক্ষোভ মিছিল চলছে তা আড়ে বহরে এখন জনসমুদ্র।
একের পর এক রাজ্য থেকে রাজধানীর দিকে হাজার হাজার কৃষকের যাত্রা অব্যাহত। উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার সীমানা পার করে দিল্লি ঘেরাও করতে মরিয়া কৃষকরা। মোদী সরকারকে টানা অবরোধে বেঁধে রাখতে অন্তত ছয় মাসের খাবার নিয়ে এসেছেন বলেই জানিয়েছেন বিদ্রোহী কৃষকরা।
পরিস্থিতি আঁচ করে কেন্দ্রীয় সরকার শর্ত সাপেক্ষে আলোচনার বৈঠকের বার্তা দিলেও কৃষকরা তা মানতে নারাজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সরকার আলোচনা করতে তৈরি। আগামী ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য হয়েছে। এই বার্তার পরেও বিক্ষোভের রেশ আরও ছড়ায়। রবিবার কৃষক সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই সরকারকে পাল্টা বার্তা দেবে। এমনই জানানো হয়েছে।
দিল্লির দিকে ইতিমধ্যে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশ। এর ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরতর। কোনও রাজ্যের সীমানায় তাঁদের আটকে রাখা সম্ভব নয়। যদিও হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সরকার প্রাথমিকভাবে বিরাট পুলিশি ব্যারিকেড তৈরি করেছিল। সেই বাধা উড়িয়েই বিরাট কৃষক বিক্ষোভ যাত্রা চলেছে। এর পরেই বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য সরকার হাল ছেড়ে দেয়। তবে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার জানিয়েছেন, এই কৃষক বিক্ষোভ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চলছে।
বিরোধী কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআই সহ বিভিন্ন বাম দল ও একাধিক বিরোধী দল কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। এই আন্দোলনে সামিল এনডিএ জোট ত্যাগ করা শিরোমনি আকালি দল। তারাও সরকারের কৃষি নীতির প্রবল বিরোধিতা করে জোট ছাড়ে।
কেন্দ্রের নতুন কৃষি নীতি প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিলের সমর্থনে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও চলছে কৃষক বিক্ষোভ। বাম কৃষক সংগঠনের পাশাপাশি এতে সামিলার এআইকেএসসিসি, আরকেএমএস, বিকেইউ (রাজেওয়াল), বিকেইউ (চাদুনি) সহ অন্যান্য কৃষক সংগঠন।