রাজ্যপালের সম্মতি মিলতেই উত্তরপ্রদেশে চালু ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন, বিরোধীদের তোপের মুখে যোগী
জল্পনা চলছিল গত কয়েক মাস ধরেই। অবশেষে রাজ্যপালের সম্মতি মিলতেই যোগী সরকারের হাত ধরেই উত্তরপ্রদেশে কার্যকর হল লাভ জেহাদ বিরোধী আইন। শনিবার রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল সম্মতি দিলেন এই সংক্রান্ত নয়া আইনের প্রস্তাবে। মূলত জোর করে ধর্মান্তকরণ রুখতেই এই অর্ডিন্যান্স এনেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এদিকে আইন পাসের পরেই বিরোধীদের বড়সড় তোপের মুখে পড়ে যোগী সরকার। বিরোধীদের স্পষ্ট অভিযোগ, মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে যোগী সরকার।

এদিকে এখন থেকে নয়া আইন বলে জোর করে বিয়ের নামে ধর্ম পরিবর্তন করলে ১ থেকে ৫ বছরের জেল এবং সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে 'অপরাধীদের’। নাবালিকা এবং তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলার ধর্মান্তকরণ করলে আরও কড়া শাস্তির নিদান দিচ্ছে যোগী সরকার। সেই ক্ষেত্রে তিন থেক ১০ বছরের জেল এমনকী ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের পর এবার সেই একইপথে হাঁটতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের সরকার। শীঘ্রই সে রাজ্যেও বিধানসভায় লাভ জেহাদ বিরোধী বিল আনা হবে বলে খবর। এদিকে যোগী সরকারের এই আইন ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারারও পরিপন্থী বলে ঘোরতর অভিযোগ আনছেন বিরোধীরা। জীবনসঙ্গী বাছা ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করায় যোগী আদিত্যনাথকে হিটলারের সঙ্গেও তুলনা করেন বামপন্থী নেত্রী বৃন্দা কারাট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৩৪ সালে ইহুদীদের সঙ্গে তথাকথিত 'এরিয়ান' বা আর্য বংশোদ্ভূতদের বিয়ে ও যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি আইন আনা হয়েছিল নাৎসি জার্মানিতে। সেই কথাও মনে করান বৃন্দা।
শুভেন্দুর 'অরাজনৈতিক’ সভাস্থলে শিবসেনার পতাকা! একুশে নয়া সমীকরণের জল্পনা