কলকাতা: বিধানসভা ভোট যত এগোচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের অস্বস্তি ততই বেড়ে চলেছে। এবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি। তাঁর সাফ কথা, ‘‘এসব টাকা দিচ্ছে কে? পিকে-র জন্যই দলের ক্ষতি।’’ ক্ষোভ উগরে হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘আমি নিজেই অপমানিত বোধ করেছি।’’

তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। তাঁকে নিয়ে গত কয়েকমাসে শাসকদলের অন্দরে বিদ্রোহ দানা বেঁধেছে। প্রকাশ্যে এব্যাপারে এতদিন কেউ কিছু না বললেও এবার মুখ খুললেন শাসকদলেরই বর্ষীয়ান এক বিধায়ক। হাওড়ার শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি।

দলের প্রবীণ এই নেতা যারপরনাই ক্ষুব্ধ টিম পিকে-র উপর। সরাসরি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পিকে আসার পরে দলের ক্ষতি হয়েছে। শুরুতে আমিও ওঁর কথা শুনেছি। তবে তার পরে ওঁর কোনও কথা আমি শুনিনি।’’

বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেরই যা ক্ষমতা আছে, বাইরের কাউকে দরকার পড়ে না। হঠাৎ একদিন ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিল পিকে-কে। একদিন একটা ছেলে একটা মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে এল। বলল, আমায় মিছিল করতে হবে। রাত জেগে দলের কর্মসূচি পালন করতে হবে। ওঁদের কথা শুরুর দিকে আমিও মেনে চলেছি। তবে তার পরে আর শুনিনি। আমি নিজেই অপমানিত বোধ করেছিলাম।’’

পিকে-র টিমের কর্মীদের মোটা বেতনের কথাও জানিয়েছেন শিবপুরের এই প্রবীণ বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে যে ইয়ং ছেলেটি পিকে-র টিম থেকে এসেছিল তাঁর বেতন ছিল ৩০ হাজার। এক ভদ্রমহিলাও আসতেন। তাঁর বেতন শুনেছি ৪৫ হাজার। এসব টাকা দিচ্ছে কে? কাউকে দরকার ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশো। আমি ওঁদের বলে দিয়েছিলাম, আমার সঙ্গে কথা বলতে আর আসবে না। তোমাদের কোনও নির্দেশ অমি শুনব না। আমায় যা বলার তা জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলবেন।’’

স্বামীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বস্ত্র ব্যবসাকে অন্যমাত্রা দিয়েছেন।'প্রশ্ন অনেকে'-এ মুখোমুখি দশভূজা স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল I