'দাদা'র হয়ে 'লড়ে জেতার' বার্তা দিয়ে নয়া পোস্টার ট্রেন্ডে! শুভেন্দু অনুগামীদের পদক্ষেপ ফের খবরে
তাঁর একের পর এক ভাষণের বার্তা আর বাস্তবের মাটিতে পর পর পদক্ষেপ নিয়ে বাংলার রাডনীতির মাটির উত্তপ্ত। ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকাারী কার্যত ম্যান অব দ্য মোমেন্ট। এহেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে ঘিরে বাংলার 'পোস্টার রাজনীতি' যেমন নয়া ট্রেন্ড এনেছে, তেমনই সেই পোস্টার রাজনীতিতে নয়া সংযোন নতুন এক বার্তা।

এইচআরবিসি ঘিরে শোরগোল
বৃহস্পতিবার রাতেই এইচআরবিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যে বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর সরে যাওয়ার কথা লেখা রয়েছে সেখানেই , লেখা ছিল এই পদে তাঁর জায়গায় আসছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত কয়েকদিনে শুভেন্দুর সঙ্গে সংঘাতের পারদ কয়েক গুণ চড়িয়েছেন। এমন এক পর্যায় এসে বাংলা জুড়ে একের পর এক জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে বহু পোস্টার পড়েছে। এবার সেই পোস্টারের ট্রেন্ডে খানিক বদল হতে শুরু করল।

পোস্টার বনগাঁতে
শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে এবার পোস্টার পড়ল বনগাঁতে । এর আগে গোটা বাংলার বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অনুগামীদের পোস্টার পড়তে থাকে। খানিকটা ঝোড়ো মেজাজে বাংলার রাজনীতি কাঁপিয়ে এই পোস্টার রাজনীতি উঠে আসতে থাকে। অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। এদিকে, এতদিন ধরে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুর সমর্থনের পোস্টারগুলিতে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বনগাঁর পোস্টার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ক্যানভাসে।

দাদার হয়ে লড়ে 'জেতার'র বার্তা
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পোস্টারে লেখা রয়েছে, ' দাদার হয়েই চলব মোরায দাদার হয়েই লড়ব। দাদর হয়েই বলবো মোরা। জিতব মোরা জিতব'। অন্যান্যবারের মতো পোস্টারে নেই কোনও দলের প্রতীক। ফলে জল্পনা , ধোঁয়াশ থেকেই যাচ্ছে।

ছাগলের তৃতীয় সন্তান প্রসঙ্গ
এর আগে, বাঁকুড়ার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরেও শুভেন্দু অনুগামীদের ক্ষোভ চড়ে। বাঁকুড়ার সভায় মমতা বলেন, ছাগলের একটা ছানাকে ছেড়ে রাখতে হয়। দুটো ছানাকে ঘরে রেখে দিতে হয়। ছাগলের তৃতীয় ছানাকে ধান্দাবাজ বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতার বার্তা সত্ত্বেও শুভেন্দু অনুগামীদের ক্ষোভ
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক শুভেন্দু অনুগামী ক্ষোভ চেপে রাখতে পারছেন না। বাঁকুড়ার সভায় কার্যত শুভেন্দু শিবিরকে বার্তা দিয়ে মমতা বলেন যে দলের রাশ তাঁরই হাতে থাকছে। কিন্তু দেখা যায়, তাতে চিঁড়ে ভেজেনি শুভেন্দুপন্থীজদের তরফে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এঁদের অনেকেই মমতাকে ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করতে ছাড়েননি।

শুভেন্দুকে ঘরে ফেরাতে তোড়জোড়
এদিকে, শুভেন্দুকে ঘরে ফেরাতে পিকের তরফে তোড়জোড় শুরু হতে দেখে রাজ্য রাজনীতি। তাঁর স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, সৌগত ও সুদীপের সঙ্গে আরও এক সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের কথা উঠে আসতে থাকে। তবে শুভেন্দুর সমর্থনে নতুন পোস্টার ও সাম্প্রতিক পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘিরে জল কোনদিকে গড়াতে থাকে সেদিকে নজর গোটা বাংলার।