সাবধান! আপনার রেলের টিকিট ভুয়ো রঙীন প্রিন্টআউট হতে পারে
সেন্ট্রাল রেলের ৪২৮টি ভুয়ো টিকিটের মামলা রেকর্ড হয়েছে, যার মধ্যে ১০২টি এসি ক্লাসের। এ বছরের জুন মাস থেকে ভুয়ো টিকিট প্রতারণা চলছে। রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বিক্রি হওয়া টিকিটের তথ্য হাতিয়ে পুনরায় তা নতুন করে বিক্রি করা হত। এই ঘটনার জেরে ট্রেনে বচসার সৃষ্টি হয় দুই যাত্রীর মধ্যে, যাঁদের একই বার্থের টিকিট দেওয়া হয়েছিল।

রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়র পর থেকে ওয়েট লিস্টেট টিকিট এর অনুমতি নেই। যার ফলস্বরূপ প্রতারকরা প্রকৃত পিএনআর, ট্রেন এবং বার্থ নম্বর ব্যবহার করে আসল চেহারার কাগজে নকল টিকিট মুদ্রণ করতে শুরু করে, কেবল যাত্রীর নাম পরিবর্তন করে। সেন্ট্রাল রেলের এক অফিসার জানিয়েছেন যে যাত্রীরা অজ্ঞাত এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট বুক করে প্রতারিত হন এবং নিজেদের নাম যখন তালিকায় দেখতে পান না তখন রেলের ওপর দায় চাপান। এটা টিকিট চেকারদের জন্য জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তাঁদের একদিকে যেমন যাত্রীদের মধ্যেকার ঝগড়া সামলাতে হয় তেমনি বার্থের সত্যিকারের অধিকারি কে তাও মেটাতে হয়। রেলের পক্ষ থেকে এও জানানো হয় যে ভুয়ো টিকিট নিয়ে সফর করলে যাত্রীকে জরিমানার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থেকেও নামিয়ে দেওয়া হয়। কখনও কখনও চেকাররা এ বিষয়ে আপিএফের থেকেও সাহায্য নেন।
তদন্তকারীরা এই ঘটনার তদন্তে নেমে উদঘাটন করেন যে জুন মাস থেকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত কোটার অপব্যবহার হচ্ছে। এক্ষেত্রেও প্রতারকরা প্রকৃত টিকিটের মতো দেখতে নকল রঙীন টিকিট তৈরি করে এবং সেখানে যাত্রীর নাম ও বয়স বদলে দেয়। সেন্ট্রাল রেলের এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন যে প্রতারকরা প্রথমে সিনিয়র সিটিজেনের আওতায় টিকিট বুক করেন। এই টিকিট এবার স্ক্যান করা হয় এবং নাম–বয়স বদল করা হয় কারেকশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে, এরপর রঙীন প্রিন্টআউট বের করা হয়। এই প্রতারণা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং এ ধরনের প্রতারণা সনাক্ত করা সত্যিই একটা অভিজ্ঞতা, জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
ভিওয়ান্ডির এক যাত্রী শাকিল আহমেদকে ২০০ টাকার বিনিময়ে নিশ্চিত টিকিটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আহমেদকে ১৯ নভেম্বর বারাণসী যেতে গিয়ে চেকার পাকরাও করেন মহানগরী এক্সপ্রেসে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে এ ধরনের প্রতারণা।
বিজেপির সঙ্গে 'আরও ২৪ জন বিধায়ক' সম্পর্ক রাখছেন! শুভেন্দু প্রসঙ্গে মুখ খুলে সরব সায়ন্তন