শেষ শুভেন্দু অধ্যায়? কালীঘাটে 'হাই ভোল্টেজ' বৈঠকের ডাক মমতার
কালীঘাটে 'হাই ভোল্টেজ' বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, হয়ত গৃহীত হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা পত্র। দুপুরে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল ইস্তফা পত্র গ্রহণ নিয়ে। তা নিয়ে টুইঠ করেছিলেন রাজ্যপালও। তবে তা নিয়ে এখনও জল্পনা জারি রয়েছে। এদিকে কালীঘাটের বাড়িতে দলের শীর্ষ নেতাদের ডেকে পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বসবে জরুরি বৈঠক। জানা গিয়েছে এদিন শুভেন্দুর হাতে থাকা মন্ত্রিত্ব বণ্টন করা হতে পারে এদিনই। এদিন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ ও সেচ দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারীকে বোঝানোর চেষ্টা হবে?
শুভেন্দু অধিকারীকে বোঝানো হবে? শুভেন্দুর হাতে থাকা মন্ত্রক পাবেন কে? দলে কী রাখা সম্ভব হবে শুভেন্দুকে? প্রশ্ন একাধিক। এই সব প্রশ্নের জবাব পেতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জরুরি বৈঠক। সেই বৈঠকেই রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, অভিষোক বন্দ্যোপাধ্যায়।

দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী?
একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কাল দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তবে পুরো বিষয়ি এখনও জল্পনার পর্যায়ে। সেখানেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। বৈঠকের পরই বিজেপিতে যোগদান করবেন শুভেন্দু৷ এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে আলাদা একটি মঞ্চও করতে পারেন তিনি।

নিজের পৃথক মঞ্চের ঘোষণা?
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ইস্তফা পত্র। সেই ইস্তফাপত্রের একটি কপি রাজ্যপালকেও পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। তবে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনও পর্যন্ত বিধায়ক পদ ছাড়েননি তিনি। একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামীকাল দিল্লি রওনা হবেন। দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাঁর। বৈঠকের পরই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জল্পনা তুঙ্গে।পাশাপাশি, দিল্লি থেকে নিজের পৃথক মঞ্চের কথাও ঘোষণা করতে পারেন। ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছেন তৃণমূল নেতা মিহির গোস্বামীও৷

সব পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শুভেন্দু
গতকাল এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ থেকেও তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। অর্থাৎ বিধায়ক পদ ছাড়া মন্ত্রিত্ব সহ সব কয়েকটি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শুভেন্দু। তবে এখনও পর্যন্ত দল ছাড়েননি তিনি। ফলে তাঁর দল থেকে ইস্তফা না দেওয়া নিয়ে কিছুটা আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে দিল্লি থেকে ফিরে তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিতে পারেন শুভেন্দু, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে দিল্লি গিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন এই তৃণমূল নেতা এখন সেইটা দেখার।
শেষের শুরু! শুভেন্দুর পদত্যাগে গেরুয়া রেখা, ইঙ্গিতবহ বার্তা মুকুল রায়ের