স্টাফ রিপোর্টার, বারাকপুর: আগামী বছরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুরু রাজনৈতিক জল্পনা, বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। তবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে সুর চড়াচ্ছেন দলের নেতারাই। এবার রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে পূর্ণ সমর্থন করলেন তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তাঁর কথায়, আমি শুভেন্দুর ফ্যান। ও যা করেছে একেবারে ঠিক করেছেন।

দীর্ঘদিনের জল্পনা সত্যি করে শুক্রবার বেলার দিকেই রাজ্যের সেচ, জলসম্পদ ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে। পাশাপাশি তাঁকে এই দফতরগুলিতে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শুভেন্দু। বিকেলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছেন।

এদিন শীলভদ্র বলেন, তিন-চারটি জেলার ভালো সংগঠক ছিলেন শুভেন্দু। দক্ষ মন্ত্রী ছিলেন। শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া রাজ্যের মানুষের স্বার্থে ক্ষতি বলে মনে করেন শীলভদ্র। তাঁর কথায় , মুখ্যমন্ত্রীই ঠিক করেন মন্ত্রী কে হবেন আর কে থাকবেন। তবে নিশ্চয়ই মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাউকে পেয়ে গিয়েছেন।

চলতি মাসের শুরুতেই প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা করে শীলভদ্র বলেছিলেন,”একটা বাজারি কোম্পানি এখানে টাকা নিয়ে ভোট করাতে এসেছে। তারা বলছে ভোট করাবে। আমাকে রাজনীতির জ্ঞান দিচ্ছে। এই পরিবেশে আর মানিয়ে নিতে পারছি না।”

সম্প্রতি দলীয় কর্মীদের এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে, শীলভদ্র দত্ত বলেন, “কোনও দিন আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু এখন কোনও কোনও মহলের দাবি, মুকুল রায়ের কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা নিয়েছি আমি। অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে আমিও নাকি গ্রেফতার হব।”

তৃণমূলে মুকুল রায় অনুগামী বলেই পরিচিত শীলভদ্র দত্ত। ২০১৭ সালে মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় রব ওঠে শীলভদ্রও জোড়া-ফুল ছাড়বেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তৃণমূলেই রয়ে যান তিনি। তবে জানিয়েছেন, “ভোটে আর দাঁড়াব না। দল এখন আমার অসুস্থতার দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু আসল কথাটা সবাই জানে। কেউ প্রকাশ্যে তা বলতে পারছে না।”

কিন্তু এবার কি সামনের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বিজেপিতে যাবেন শীলভদ্র? জল্পনা তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

স্বামীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বস্ত্র ব্যবসাকে অন্যমাত্রা দিয়েছেন।'প্রশ্ন অনেকে'-এ মুখোমুখি দশভূজা স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল I