শুভেন্দু ছাড়ছেন সরকারি নিরাপত্তা! বাংলার রাজনীতিতে তোলপাড়ের ইঙ্গিত
এইচআরবিসির সরকারি পদ থেকে তাঁর বৃহস্পতিবার রাতেই সরে আসার কথা জানা যায় এক বিজ্ঞপ্তির হাত ধরে। এরপর বাংলার পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ২০২১ ভোটের আগে বাংলার রাজনীতিতে চরম শোরগোল ফেলে দিয়ে এদিন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিয়ে ফেললেন বড় সিদ্ধান্ত।

জেড ক্যাটেগোরি নিরাপত্তা সরালেন!
রাজ্য সরকারের পরিবহনমন্ত্রী হিসাবে এবার সরকারি নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় জেড ক্যাটেগোরির নিরাপত্তা পেতেন তিনি।তিনি এতদিন রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে জেড ক্যাটেগোরিতে পাইলট কার, আলাদা দেহরক্ষী পেতেন। এবার সে সমস্ত ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু।

পেরেক ঠুকেই দিলেন নন্দীগ্রামের নেতা!
এবার শুভেন্দুর ২৬ নভেম্বর ও ২৭ নভেম্বরের পর পর পদক্ষেপের জেরে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গেল। অনেকেই, বলছেন সম্ভবত তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী হিসাবে কোনও বড়সড় পদক্ষেপের দিকে যেতে শুরু করেছেন শুভেন্দু। এর আগে তৃণমূলের, অভিষেক তথা প্রশান্ত কিশোরের রমরমা নিয়ে শুভেন্দুর মনে ক্ষোবের সঞ্চার হয়েছে বহু রিপোর্টে উঠে আসে। বরফ গলাতে তৃণমূল বহু চেষ্টা করে। সৌগত, সুদীপের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকের পর বরফ খানিকটা গলে বলে মনে হলেও, নন্দীগ্রামের দাপুটে নেতার পরবর্তী পদক্ষেপ রীতিমতো ধোঁয়াশা তৈরি করে। এদিনের নিরাপত্তা ছাড়ার ঘটনার পর জল্পনা আরও প্রকট হয়েছে।

এইচআরবিসির পদ ছেড়েছেন
এর আগে শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার রাতে হুগলি নদী ব্রিজ কমিশনারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সেই পদে আসীন হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল রাজনীতির এমন পদক্ষেপ দেখেই জল্পনা বাড়তে থাকে।

'নেত্রী আমাকে তাড়াননি' থেকে 'ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা' মন্তব্য
রামনগরের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়া নিয়ে যখন জল্পনা চরমে ছিল, তখন তিনি সাফ জানান, নেত্রী আমাকে ছাড়েননি, আর আমিও দল ছাড়িনি। এদিকে এরপর বহু জল গড়ায় তৃণমূলের অন্দেরর রাজনীতিতে। শুভেন্দুকে নিয়ে সরব হতে থাকেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বাঁকুড়ার সভায় মমতার 'ছাগলের তৃতীয় সন্তান' নিয়ে মন্তব্যে কার্যত চিড় স্পষ্ট হতে থাকে।
বনগাঁয় দিলীপের টোপ ফেলে মাছ ধরা থেকে চায়ে পে চর্চা খবরে! শান্তনুর গরহাজিরি নিয়ে খুললেন মুখ