শুভেন্দু-তৃণমূল সম্পর্কে ইতি! বিদায়ের পথ তৈরি করলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা গ্রহণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই শুভেন্দুর তৃণমূল ত্যাগের জল্পনার উপর প্রায় শিলমোহর পড়েই গেল। শুভেন্দুর ইস্তফা গ্রহণের পরই তড়িঘড়ি কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক ডাকেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে শুভেন্দুর ইস্তফা গ্রহণ করার পর সেই সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে জানানো হয়।

মমতার কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক
এদিন মমতা কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে পাঠালেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের। শুভেন্দু অধিকারীর হাতে থাকা দফতরগুলো আজই বন্টন করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে পারেন ফিরহাদ হাকিমকে এবং সেচ মন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

রণকৌশল সেরে ফেললেন মমতা?
পাশাপাশি, দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এরপর শুভেন্দুকে দলে রাখা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করলে কিভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যাবে তা নিয়ে তা নিয়ে রণকৌশল সেরে ফেলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিবাচক থাকার বার্তা
ক্ষোভের বরফ গলাতে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়। তবে সমস্ত জল্পনা-কল্পনা উস্কে দিয়ে গতকাল এইচআরবিসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। এইচআরবিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন চেয়ারম্যান করা হয়। অন্যদিকে, আজ হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট বোর্ড থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। এরপরই আজ তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন। অবশ্য সৌগত রায় শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করার বার্তা দিয়েছেন।

শুভেন্দুর ইস্তফাতে কী বলছে বিজেপি?
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব সভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারী কোন পথে পা বাড়াবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এদিন মন্তব্য করেন, শুভেন্দু অধিকারীকে যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়নি। তাই উনি এই পদক্ষেপ করেছেন।
শেষের শুরু! শুভেন্দুর পদত্যাগে গেরুয়া রেখা, ইঙ্গিতবহ বার্তা মুকুল রায়ের