মানচিত্র বিতর্কের ৫ মাস পর অবশেষে শ্রীংলার হাতেই ইন্দো-নেপাল সম্পর্কে বরফ গলার ইঙ্গিত
ইতিমধ্যেই মানচিত্র বিতর্কের আবহে নেপালে গিয়েছেন ভারতীয় বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। ২৬ ও ২৭ নভেম্ভর দু-দিনের সফরে গিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি নেপাল সরকারের একাধিক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই মিলছে ভারত-নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত।

একাধিক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক শ্রীংলার
এদিকে সফরের প্রথম দিনই নেপালের বিদেশসচিব ভারত পাউডিয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রীংলা। সেই বৈঠকও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এবং বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ জ্ঞাওয়ালির সাথেও দু-দফায় ভিন্ন দুটি বৈঠক করেন তিনি। সেখানেও একাধিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিদেশসচিব হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের পর এই প্রথম নেপাল সফরে গেলেন হর্ষবর্ধন।

তিনটি ভারতীয় ভূখন্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে নেপাল
অন্যদিকে ইন্দো-নেপাল মানচিত্র বিতর্কেরও পরও এই প্রথম দু-দেশের মধ্যে কোনও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ব মানচিত্রে ভারতের তিনটি ভূখণ্ডকে নিজের বলে দাবি করে পাঁচ মাস আগেই সংসদে সংশোধনী আনে কাঠমান্ডু। যাতে প্রত্যক্ষ মদত ছিল প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি-র। নতুন মানচিত্রে ভারতীয় ভূখণ্ডের কালাপনি, লিম্পিয়াধুরা এবং লিপুলেখকে নিজেদের বলে দাবি করে নেপাল।

কতটা কাটল সম্পর্কের জট ?
এদিকে নেপালের এই কর্মকাণ্ডের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছিল ভারতকেও। তাদের নতুন মানচিত্রের কোনও বৈধতা নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেয় নয়া দিল্লি। তার পর থেকেই ক্রমেই অবনতি হয়েছে ভারত-নেপাল সম্পর্কের। উল্লেখ্য এর পিছনে প্রধান মদতদাতা হিসেবে বারবার উঠে এসেছে চিনের নামই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেই চিড় ধরা সম্পর্ক মেরামতি করতেই নেপাল গিয়েছেন ভারতীয় বিদেশসচীব।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা
এদিকে সূত্রের খবর, সীমান্ত সমস্যার পাশাপাশি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে ভারতীয় বিদেশসচিবের। একের অপরের সংবেদশীল ইস্যুগুলিতে সম্মান জানাতে রাজি হয়েছে দুই দেশই। এমনকী সীমান্ত ইস্যু নিয়েও দুই দেশ নিজেদের স্পষ্ট অবস্থানের কথা তুলে ধরে।

করোনা মোকাবিলাতেও নেপালের পাশে ভারত
পাশাপাশি আগামীতেও কীভাবে সীমান্ত ইস্যুতে সুষ্ঠ ভাবে দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় এই নিয়ে আলোচনা চলতে পারে সেই ধোঁয়াশাও অনেকটা কাটে এদিনের বৈঠকেই। একইসাথে যোগাযোগ, কোভিড ম্যানেজমেন্ট ও পরিকাঠামো উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয় বলে খবর। এমনকী করোনা মোকাবিলায় ভারত সর্বত ভাবে নেপালের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
বিজেপির সঙ্গে 'আরও ২৪ জন বিধায়ক' সম্পর্ক রাখছেন! শুভেন্দু প্রসঙ্গে মুখ খুলে সরব সায়ন্তন