টার্গেটে ভারত নাকি আমেরিকা? চিনা সেনাকে আরও 'সমৃদ্ধ' করার ঘোষণা জিনপিংয়ের
আরও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে চিনা সেনাকে সমৃদ্ধ করার ঘোষণা করলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০২৭ সালের মধ্যে এই আধুনিকীকরণ সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি। চিনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন জিনপিং। তারপরই আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, ভারত নাকি আমেরিকা, কোন দেশকে হুঁশিয়ারি দিতে চেনের এহেন পদক্ষেপ?

চিনা সেনার প্রশিক্ষণের জন্য এবার নয়া নীতি
চিনে এই সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের অধীনেই রয়েছে সব সামরিক বাহিনী। সেদেশের দুই মিলিয়ন সেনা এই কমিশনের নির্দেশ মতো কাজ করে। এই কমিশনের বৈঠকেই জিনপিং জানান যে চিনা সেনার প্রশিক্ষণের জন্য এবার নয়া নীতি প্রণয়ন করা হবে যাতে তারা 'বিশ্বমান'-এর সেনায় পরিণত হয়।

চিনা বিস্তারবাদ
এদিকে চিনা প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য এমন এক সময় এল যখন, ভারত-চিন সেনা পর্যায়ের আলোচনা জারি রয়েছে লাদাখে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে। জিনপিংয়ের এই মন্তব্য সেনা প্রত্যাহারের উপর কতটা প্রভাব ফেলে, তার দিকে নজর রেখেছে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল। এদিকে লাদাখ ছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগরে তাইওয়ানকে চোখ রাঙিয়েই চলেছে বেজিং।

১৭৯ বিলিয়ন ডলার খরচ চিনের
এদিকে বিশেষজ্ঞদের মত, মার্কিন সেনা বাহিনীর সঙ্গে সমকক্ষ এক সামরিক বাহিনী তৈরির লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন জিনপিং। এর লক্ষ্যে ক্রমেই সামরিক খাতে খরচাও বাড়িয়েছে চিন। ২০১৯ সালে প্রতিরক্ষা খাতে ২৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে জিনপিংয়ের প্রশআসন। এদিকে করোনা আবহে এই বছরও এই খাতে খরচের পরিমাণ ১৭৯ বিলিয়ন ডলার।

যুদ্ধের জন্য চিনকে প্রস্তুত করতে জিনপিংয়ের দাওয়াই
চিনা সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আরও সাবলিল করতে, চিনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে আরও দৃঢ় ভাবে সুরক্ষা পরিবেশ তৈরি করতে এবং আধুনিক যুদ্ধের সঙ্গে আরও ভালো ভাবে মানিয়ে নিতে নয়া নীতি লাগু হবে। চিনা সামরিক প্রশিক্ষণে বদল আনার কথা বলেন জিনপিং। উল্লেখ্য, চিনা সেনাকে নিয়ে সব বিশেষজ্ঞের মত, তারা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ততটা কার্যকরী নয়।

আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায় চিন
এদিকে চিনা সামরিক বাহিনীর সকল শাখাকে সম্মিলিত ভাবে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে আরও উন্নত কৌশলগত পরিকল্পনা এবং শীর্ষ স্তরের নকশার প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন জিনপিং। এই লক্ষ্যেই নয়া বিধি মেনে সেনার প্রশিক্ষণের রূপরেখা তৈরি করার নির্দেশও দেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মত, মার্কিন যুদ্ধ ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এই খোলস বদলের পথে হাঁটছে চিন।
ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছেন ২৫ কোটি শ্রমিক! ব্যাহত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, থমকে যাবে দেশ