স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: দেশ জুড়ে ডাকা ধর্মঘটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সক্রিয় ছিলেন বাম- কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। ধর্মঘটের সমর্থনে পথ অবরোধ-মিছিল করেন তাঁরা। যার জেরে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির সৃষ্টি হয়। তবে ধর্মঘটের বিশেষ প্রভাব পড়ল না কলকাতায়।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইন, শ্রম আইনের খোলনলচে বদল, আলু-পেঁয়াজ থেকে পেট্রোপণ্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো ধর্মঘট পালন করেছে।

কলকাতায় কোথায় বড়সড় অশান্তি না হলেও সকালের দিকে মাঝেমধ্যেই শিয়ালদহ শাখায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।সকালে বেহালায় মিছিল করে অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বামেরা মিছিল করে। ওই মিছিলে যোগ দেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরাও। সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এ দিন রেল অবরোধ চলে। রাজাবাজার বিক্ষোভ দেখায় ধর্মঘটীরা।

পাশাপাশি লেনিন সরণিতে জোর করে দোকান বন্ধের অভিযোগ ওঠে বামেদের বিরুদ্ধে। এদিন খিদিরপুরে মিছিল করে বাম-কংগ্রেসের। এছাড়াও, নিউটাউনের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।

অন্যদিকে, বন্‌ধ সমর্থককারীরা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, চাঁদনী চক মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জমায়েত হলেও তাঁরা ভিতরে ঢুকতে না পারেননি। ফলে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও মোটের উপর বন্‌ধের দিনে শান্তিপূর্ণ ছিল মহানগর।

ধর্মঘট ঘিরে যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য ছিল রাজ্য সরকারের। শুধুমাত্র কলকাতাতেই ৫ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এদিন রাজ্যে বেসরকারি বাস কম থাকলেও পথে নেমেছে বহু সরকারি বাস।

ধর্মঘটীদের দাবিদাওয়াগুলি সমর্থন করলেও তার সমর্থনে পথে নামবেন না বলে আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন ধর্মঘটের বিরুদ্ধে বর্ধমানে পাল্টা পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন।

বর্ধমান শহরে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদের নেতৃত্ব মিছিল হয়। মিছিলে গান গেয়ে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়।

সপ্তম পর্বের দশভূজা লুভা নাহিদ চৌধুরী।