কলকাতাঃ  স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের অধীনে না থাকলে রাজ্যের স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন প্রত্যেক রাজ্যবাসী। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একই সঙ্গে স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্পের নয়া স্মার্ট কার্ড প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। সরকারের এই পদক্ষেপে সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। এই বিষয়ে বামেদের কটাক্ষ, ডিজিটাল রেশন কার্ড দিতে গিয়ে যে সরকার ল্যাজে গোবরে অবস্থা হয় তাঁরা আবার রাজ্যের মানুষকে স্বাস্থ্য কার্ড কীভাবে দেবে তা নিয়ে প্রশ্ন বামেদের।

অন্যদিকে, বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যের কোষাগার ধুঁকছে। মাথার ওপর ঋণের বোঝা। স্রেফ ইগো স্যাটিসফাই করার জন্য আরও ঋণের বোঝা চাপানো হচ্ছে মাথার ওপর।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি এক নজরে—

১) ক্যাশলেস প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সব মানুষ।

২) ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড

৩) বিমার ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা। তবে পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে না। পরিবারপিছু মিলবে ৫ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস চিকিত্সার সুযোগ।

৪) বেসরকারি হাসপাতালেও মিলবে বিমার সুবিধে

৪) ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড

৫) কার্ড দেওয়া হবে গৃহকর্ত্রীর নামে। সেই কার্ডের আওতায় থাকবেন পরিবারের বাকি সদস্যরা।

৬) রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি, বহু বেসরকারি হাসপাতাল, দিল্লির এইমস এবং ভেলোরে এই কার্ডের সুবিধা নেওয়া যাবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষের কাছে প্রকল্প পৌঁছনোর পরিকল্পনা সরকারের। বলেন, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবার অধীনে না থাকলেই সবার জন্য স্বাস্থ্য-সাথী।

বেসরকারি হাসপাতালেও মিলবে বিমার সুবিধে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধে।’ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য সরকারের কাছে সাধারণ মানুষকে নাম লেখানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একই সঙ্গে মমতা বলেন, বাংলার প্রত্যেক পরিবার প্রতি মানুষকে ১০০% মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় নিয়ে আসছি। যারা অন্য কোনও স্কীমে নেই। তারা সবাই পাবে। সবাই। দুয়ারে সরকার বাড়ি বাড়িতে যাবে তখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করবেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, এর জন্য বাড়তি ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের।

সপ্তম পর্বের দশভূজা লুভা নাহিদ চৌধুরী।