পিকের কাজে ক্ষোভ! উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের ঘোষণা আরও এক 'অপদস্থ' নেতার
ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলে (trinamool congress) বিক্ষুব্ধের সংখ্যা বাড়ছে। দলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের ( prashant kishor) কাজের প্রতি বিরোধিতা করেই এই বিদ্রোহ। তবে অনেকেই দল ছাড়া কথা জানাচ্ছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন, উত্তরবঙ্গের আরও এক প্রভাবশালী নেতা।
বাড়ল তাপমাত্রা, উধাও শীত! মেথলা আকাশে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার কোন পূর্বাভাস

তৃণমূলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নয়
তৃণমূলের এই প্রভাবশালী নেতা হলেন, আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত। তৃণমূলের সঙ্গে তিনি আর কোনও রকমের সম্পর্ক রাখবেন না বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কোন দলে যাচ্ছেন, কিংবা তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জানাবেন বলেও স্পষ্ট করেছেন তিনি।

দলের জেলা কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ
মূলত দলের জেলা কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ আশিস দত্তের। তাঁর অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারের নতুন জেলাকমিটিতে যাঁদের স্থান দেওয়া হয়েছে, তাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অভাব রয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে অনেকদিন ধরেই অপদস্থ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান এই নেতা। পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই বেশিরভাগ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানদের নির্দিষ্ট করে দায়িত্ব দেওয়া হলেও, তাঁর ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। এছাড়াও পুরসভার ট্রেড ইউনিয়ন ভেঙে অন্য কায়দায় ট্রেড ইউনিয়ন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
নতুন জেলা কমিটিতে আশিস দত্তকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। এব্যাপারে বর্ষীয়ান এই নেতা বলেছেন, ৩০ জন ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে তাঁকে রেখে অপমান করা হয়েছে।

তৃণমূলের তরফে প্রতিনিধি পাঠিয়ে মান ভাঙানোর চেষ্টা
আশিস দত্ত যে দলের প্রতি ক্ষুব্ধ, তা অনেকদিন ধরেই জানে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর ক্ষোভ প্রশমনে পাঠানো হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের দলের দুই প্রতিনিধিকে। এছাড়াও জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে আশিস দত্তের সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা করেন। তবে আশিস দত্ত জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবেন না।

দলের প্রতি বিরূপ মিহির গোস্বামী
দলের জেলা কমিটি নিয়ে অক্টোবরের শুরুতেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের দলীয় অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা এবং দলের সুপ্রিমোর ছবি সরিয়ে দিয়েছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তাঁর ক্ষোভ প্রশমনে বিজয়ার পর বাড়িতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল জেলার নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। দিন কয়েক আগে তিনি ফের মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করেন। মিহির গোস্বামী বলেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দলকে কন্ট্রাক্টর সংস্থা দিয়ে চালাতে গেলে ১০০ শতাংশ ক্ষতি সম্ভাবনা থেকে। বত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে যে নেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক, তাঁকে নিয়েই মিহির গোস্বামী বলেছেন, দলের নিয়ন্ত্রণ আর তার হাতে নেই।