‘মু্ম্বই হামলার ক্ষত কখনও ভুলবে না ভারত’! ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মোদী
আজ থেকে ঠিক ১২ বছর আগে এই দিনেই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ।প্রতিটা ভারতবাসীর মনের দুঃস্বপ্নের স্মৃতির পাতায় আজও যেন দগদগে হয়ে রয়েছে ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ মু্ম্বই হামলার কথা। বৃহস্পতিবার সংবিধান দিবসের ভাষণে আবারও সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত নয়
একইসাথে ভারতের ইতিহাসেই এই দুর্বিষহ ক্ষতের জন্ম দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে কোনোদিনই ক্ষমা করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মোদী। পাশাপাশি সংবিধান দিসবের ভাষণ মঞ্চ থেকেই মু্ম্বই সন্ত্রাসী হামলার কবলে পড়ে মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করেন তিনি। সেই সঙ্গে মোদীকে বলতে শোনা যায়, " বর্তমানে ভারত নতুন উদ্যোমে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। লড়াইয়ের ময়দানে নেমে যাঁরা প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন সেই সমস্ত নিরাপত্তকর্মীদের আমি নতমস্তকে শ্রদ্ধা জানাই।"

ফের মোদীর নিশানায় পাকিস্তান
পাশাপাশি ২৬/১১- ভয়াবহল সন্ত্রাসী হামলার জন্য এদিন ফের সরাসরি পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তোলেন মোদী। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মোদীকে বলতে শোনা যায়, "সেদিন যাঁরা দেশকে রক্ষা করেছিলেন তাঁদের আত্মত্যাগ কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেব না। দেশবাসীর মনে আজীবন অমর হয়ে থাকবেন এই বীর শহিদেরা। ভারত আর কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত করবে না। এটা সদকলের বুঝে রাখা প্রয়োজন। "

শোক প্রকাশ করেন বিভিন্ন দলের একাধিক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ
এদিকে এদিন সকাল থেকেই ভয়াবহ সেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় বলিদান দেওয়া নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গোট দেশই। বিনোদন হোক বা ক্রীড়া, রাজনীতি হোত বা সাহিত্য, মুম্বই হামলায় মৃতদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রত্যেকেই। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, পীযুশ গোয়েল, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা সহ বিভিন্ন দলের একাধিক বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ শহিদ জওয়ানদের প্রতি ও পাক সন্ত্রাসের বলি মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

কী হয়েছিল দুঃস্বপ্নের ২৬/১১-র রাতে ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর আরব সাগর পার করে মুম্বইয়ে ঢোকে ১০ লষ্করই তৈবা জঙ্গি। বাণিজ্য নগরীর একাধিক রেল স্টেশন, তাজের মতো বিখ্যাত হোটেল সহ বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় নির্বিচারে গুলি চালায় তারা। জঙ্গিদের রোষানলে পড়ে প্রাণ হারান প্রায় ১৮০ জন। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ৩০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। এদিন মু্ম্বই হামলা প্রসঙ্গে শোকপ্রকাশ করতে দেখা যায় টাটাগোষ্ঠীর তাজ হোটেলের কর্ণধার রতন টাটাকেও।
মোদী সরকারের রোষানলে মমতার প্রশাসন! একুশ ভোটের আগে কেন্দ্রীয় স্কিম নিয়ে মমতাকে সাফ বার্তা কেন্দ্রের