‘দেশের অগ্রগতির স্বার্থে’ ফের ‘এক দেশ এক ভোটের’ পক্ষে জোরাল সওয়াল মোদীর
এর আগেও একাধিকবার এই দাবিতে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহঃষ্পতিবার অল ইন্ডিয়া প্রিসাইডিং অফিসার্সদের কনফারেন্স মঞ্চ থেকেও ফের এক দেশ এক ভোটের দাবিতে আওয়াজ তুললেন নরেন্দ্র মোদী। অর্থ ও সময় নষ্ট ঠেকাতে, এবং একইসাথে গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এর কোনও বিকল্প নেই বলেই মত মোদীর।

বাঁচবে অর্থ, সঙ্গে সময়ও
মোদীর যুক্তি ভারতে বর্তমান নির্বাচন কাঠামো রয়েছে তার ভিতরেই রয়েছে আসল গলদ। আর ফলস্বরূপ নষ্ট হচ্ছে প্রচুর অর্থ। একইসাথে নষ্ট হচ্ছে সময়ও। অল ইন্ডিয়া প্রিসাইডিং অফিসার্সদের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সেই মোদী বলেন, "এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে এখন আর কোনও বিতর্ক নেই। প্রতিবছর প্রায় গোটা ভারতজুড়েই কয়েকমাস অন্তর একাধিক ভোট প্রক্রিয়া চলে। যার ফলেই আখেরে ক্ষতি হচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি। বাধা পাচ্ছে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিও।"

২০১৪ সালে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রথম এই দাবি তোলেন মোদী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ‘এক দেশ, এক ভোটে'র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরবর্তীতে মোদীর কথা অনুসরণ করে বিভিন্ন সময়ে অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীও ‘এক দেশ, এক ভোটে'র পক্ষে সওয়াল করেছেন। এমতাবস্থায় ফের আরও একবার নিজের অবস্থান জরালো ভাষায় জানালেন মোদী। তবে এর পিছনেই রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

প্রিসাইডিং অফিসারদের জন্যও নয়া বার্তা নোদীর
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে আগামী প্রয়োজনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সেই বিষয়েও প্রিসাইডিং অফিসারদের নতুন করে ভাবতে বলেন মোদী। গোটা দেশের স্বার্থেই এই নয়া প্রথার প্রচলনের প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁর মত। যদিও ভোটার তালিকা মেনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিধানসভা, লোকসভা-সহ অন্য ভোট হলে সময়ের পাশাপাশি অর্থও বাঁচবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।

‘এক দেশ এক ভোটের’ পক্ষে জনভিত্তি গড়ে তুলতে চাইছেন মোদী
এর আগেও একাধিকবার একই দাবিতে সরব হওয়ায় তা নিয়ে তীব্র জল্পনাও হয় রাজনৈতিক মহলে। শেষ পর্যন্ত কথা হলেও একাধিক রাজনৈতিক দলের বিরোধীতার জেরে কাজ বিশেষ এগোয়নি। এমতাবস্থায় প্রিসাইডিং অফিসার্সদের অনুষ্ঠান থেকেই ফের নতুন বার্তা দিলেন মোদী। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। বারবার এই বিষয়টিকে সামনে এনে জনমানসে ‘এক দেশ এক ভোটের' পক্ষে জনভিত্তি গড়তে চাইছেন মোদী। কিন্তু তাতে আদপে কতটা সুফল মেলে তা সময়ই বলবে।
স্বাস্থ্যসাথীতে লাভ নেই, শুধুই কাটমানি! মুখ্যমন্ত্রী মমতার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সেলিম