বিশ্বের চোখে ধুলো, বাড়িতে আরামেই আছে 'বন্দি' হাফিজ! খসে পড়ল ইমরানের মুখোশ
হাফিজ সইদকে সন্ত্রাসে আর্থিক যোগ ইস্যুতে দুটি মামলার জেরে সাড়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল পাকিস্তানের আদালত। তবে বাড়ির সুখেই সেই সাজা কাটাচ্ছে এই জঙ্গি। এর আগে সেদেশের সন্ত্রাস বিরোধী আদালত এই জঙ্গি নেতাকে সাজা শোনালে তাকে লাখপেত জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর এখন সেখান থেকে ফিরে নিজের বাড়িতেই রয়েছে হাফিজ।

পাকিস্তানকে নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত করেছে বিচ্ছিনতাবাদীরা
ভারতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানকে নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত করেছে বিচ্ছিনতাবাদী জঙ্গিরা। তাতে যথেষ্ট মদতও রয়েছে পাক সরকার ও আইএসআই-এর। এই পরিস্থিতিতে এফএটিএফ-এর চাপে পড়ে ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে হাফিজের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানি আদালত।

মুম্বই হামলার স্মৃতি দগদগে
এদিকে ২০০৮-এর নভেম্বরে মুম্বইয়ে ওই ভয়ঙ্কর হামলা চালানোর পিছনে হাফিজের ভূমিকা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ ভারত তুলে দিয়েছে পাকিস্তানের হাতে। তবে এই বিস্তারিত তথ্য হাতে পেয়েও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। যে শাস্তি তাকে দেওয়া হয়েছে, তা সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর জন্য। তাও এফএটিএফ-এর চাপে পড়ে ধূসর তালিকা থেকে বেরোনোর পন্থা হিসেবে।

গৃহবন্দি অবস্থাতে রাখা হয়েছে হাফিজকে
এরই মাঝে জানা গিয়েছে, গৃহবন্দি অবস্থাতে রাখা হয়েছে হাফিজকে। লাহোরের জোহার টাউনে নিজের বাড়িতেই আরামে রয়েছেন হাফিজ। তবে বিশ্বের চোখে ধুলো দিয়ে পাকিস্তানি সরকার বোঝাতে চাইছে যে হাফিজকে সাজা দিয়েছে সেদেশের আদালত। জামাত নেতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে ৪১ টি মামলা রয়েছে।
১৬৬ জনের মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত হাফিজ।

লস্করের নেতৃত্বে ২০০৮ সালে মুম্বইতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা
এদিকে ২০০৮ সালের সেই বীভৎস রূপ আজও মুম্বইয়ের স্মৃতি থেকে সরে যায়নি। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে,পাকিস্তানের মসজিদে এদিন বিশেষ একটি প্রার্থনা সভা ডেকেছে দাগী জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা। এই লস্করের নেতৃত্বেই ২০০৮ সালে মুম্বইতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই লস্কর শিবির মুম্বই হামলায় মৃত ১০ জঙ্গির আত্মার শান্তি কামনায় চলেছে এই প্রার্থনা।