স্টাফ রিপোর্টার, বাঁকুড়া: কে কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, সব কিছুই তিনি নজর রাখছেন। বাঁকুড়ার সভা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তাঁর তাৎপর্যপূর্ন মন্তব্য, “আমিই গোটা রাজ্যের অবজারভার।”
দলীয় জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “কোথায় কে দল দেখবে ভাবার দরকার নেই। কর্মী হিসেবে আমিই রাজ্যে সর্বত্র অবজারভার। কাজের চাপ বেশি পড়ছিল বলে কিছুদিন আলগা দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারি কাজকর্মের মতো দলের উপরও কড়া নজর রাখব।” নেত্রীর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।
তারা মনে করছে, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে হয়তো এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তা দিয়েছেন। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বেড়েছে। অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু।
কিন্ত ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি। চলতি সোমবার শুভেন্দুর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেন সাংসদ সাংসদ সৌগত রায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে কোনও জট কাটেনি। আগে যেমন তিনি একাধিক জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেই পদ চেয়েছেন শুভেন্দু। তাঁকে জানানো হয়েছে এখন তৃণমূলে সেরকম কোনও পদ নেই। ফলে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।
শোনা যাচ্ছে, দলের সঙ্গে তাঁর বিরোধের অন্যতম বড় কারণ এই অবজারভার পদ নিয়ে। শুভেন্দুর অনুগামীদের বক্তব্য, অবজারভার পদ তুলে দিয়ে নেত্রী শুভেন্দুর ডানা ছেঁটেছেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শুভেন্দু ক্ষোভ দূর করতেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি নিজেই সব জেলার অবজারভার। এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল করতে হলে ত্যাগী হতে হবে।”
এরপরই তাঁর চ্যালেঞ্জ, “’অনেকেই মনে করছেন, যদি বাইচান্স (বিজেপি) চলে আসে। আরে চান্সই নেই তো বাইচান্স!” উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও দলবদলের জল্পনা চলছে।