সারাদিন নানা কাজের মধ্যে থেকে ভগবানের নাম নেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু স্নান এক পবিত্র কাজ। সেই সময়ে কিছু মন্ত্র উচ্চারণে দূর হতে পারে সব রকম বাধা বিপদ। বলা হয়ে থাকে স্নান করার সময় এই মন্ত্রগুলি পাঠ করলে বা উচ্চারণ করলে জীবন থেকে বিপদ দূর হয়।

মানুষের শরীর পাঁচটি তত্ব বা উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি। কথিত রয়েছে, বাতাস, আগুন, মাটি, আকাশ ও জলের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে মানব শরীর। এর মধ্যে জলের গুরুত্ব সবথেকে বেশি। জল জীবন। সেই জীবনের আধারকে স্মরণ করলেই দূর হয় দুর্ভাগ্য। তাই স্নান করলে শরীর ও মন যেমন পবিত্র হয়. তেমনই সেই পবিত্র সময়ে জলের শুচিতাকে স্মরণ করাও পবিত্রতার চিহ্ন রাখে।

যে মন্ত্রের সাহায্যে পবিত্রতাকে আহ্বান করা হয়, সেখানে সাতটি নদীর মিলন ঘটানো যায়। এই মন্ত্রে গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু, ও কাবেরীকে স্মরণ করা যায়। এই নদীগুলির পবিত্রতা ও শুদ্ধতা জীবনে নিয়ে আসে শান্তি ও সমৃদ্ধি।

স্নান করার সময় বলুন-
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতী
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু

পরে কৃতাঞ্জলি হয়ে-
ওঁ কুরুক্ষেত্র গয় গঙ্গা প্রভাস পুষ্করিণী চ।
তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি স্নানকালে ভবন্ত্বিহ।

এছাড়াও হিন্দু ধর্ম অনুসারে, জলের দেবতা বরুণকে তুষ্ট করলে মেলে সাফল্য, সমৃদ্ধি ও শান্তি। নীরোগ হয় শরীর। তাই স্নানের সময়ে একটি মন্ত্র পাঁচবার উচ্চারণ করলেই মেলে সুফল। তুষ্ট হন জলের দেবতা বরুণ। স্নান করার আগে এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে পাঁচবার। বলতে হবে ওম হ্রীং বরুণ দেবতায় নমঃ। তবেই শান্তি ও সুখে ভরে উঠবে জীবন।

সপ্তম পর্বের দশভূজা লুভা নাহিদ চৌধুরী।