দিদিমণি বোকা বানিয়েছেন! এবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদককেই বিজেপিতে আমন্ত্রণ দিলীপের, জল্পনা তুঙ্গে
যোগ্য তৃণমূল নেতাদের জন্য বিজেপির দরজাটা বড় করা হয়েছে আগেই জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য তৃণমূলই তাঁকে (শুভেন্দু) বিজেপিতে পাঠিয়ে দিতে চায়। কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের কারও কারও প্রতি যে তারা নরম সে কথা ফুটে উঠল দিলীপ ঘোষের মুখে। গোপীবল্লভ পুরের সভা থেকে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদককে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি।

মানুষের জন্য লড়াই করছেন ছত্রধর
ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই ছত্রধর মাহাতকে উদ্দেশ্য করে নানা কথা বলে তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ছত্রধর মাহাত মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। কিন্তু যার জন্য করেছেন (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তিনিই তাঁকে (ছত্রধর) জেলে পাঠিয়েছেন।

ভোটের স্বার্থে পদ চাকরি
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভোটের স্বার্থেই ছত্রধর মাহাতকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, ভুলে যাবেন না, দিদিমণি বোকা বানিয়েছেন। যেমনভাবে তিনি সারা রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।

বিজেপি সম্মান দেবে
ছত্রধর মাহাতকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আসুন বিজেপিতে যোগ দিন, বিজেপি সম্মান দেবে। বিজেপি যা বলে তাই করে। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বিমল গুরুংয়ের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করা হয়েছিল। সেই এলাকায় মানুষ তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপিকে জিতিয়েছে।
এদিকে দিলীপ ঘোষের এই আহ্বানের পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ছত্রধর মাহাতকে তৃণমূল জঙ্গলমহলের দায়িত্ব দেওয়ার পর কি বিজেপি এলাকায় দমি হারাচ্ছে। এব্যাপারে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের ব্যাখ্যা দিলীপ ঘোষ অত্যাচারিত, প্রতারিত সবাইকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ছত্রধরের প্রতিক্রিয়া
এব্যাপারে ছত্রধর মাহাত সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁকে জেলে ঢুকিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। সেই বামেরাই লাল জামা খুলে গেরুয়া জামা পরে জঙ্গলমহলে সন্ত্রাসের ছক করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছত্রধর মাহাত।

বিজেপি নেতার সঙ্গে কথায় জল্পনা
দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতা পশুপতি দেব সিং-এর সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছিল ছত্রধর মাহাতকে। এই দুই নেতার কথা বলার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিজেপি নেতা অবশ্য বলেছিলেন কুড়মিদের দাবি দাওয়া নিয়েই কথা হয়েছে।
জামিন পাওয়ার পরে ছত্রধর মাহাত বাড়িতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়ও। ছত্রধর মাহাতকে কেন ১০ বছর জেলে কাটাতে হল সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুকুল রায়। ছত্রধর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়কেই উত্তর দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তী সময়ে ছত্রধর মাহাতকে মাওবাদী বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছিল বিজেপি।

ছত্রধরের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে ছত্রধর মাহাত জেল থেকে মুক্তি পেলেও, তার বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলে বড় দুটি মামলা এখনও চলছে। একটি হল লালগড়ে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাত খুন এবং অপরটি হল দিল্লি ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের চেষ্টা। এছাড়াও ইউএপিএ মামলাও রয়েছে ছত্রধরের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এনআইএ তদন্ত জারি রয়েছে। এরই মধ্যে ছত্রধর মাহাত একাধিকবার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গিয়েছেন।
মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক করোনা ইস্যুতে: দিল্লির 'থার্ড ওয়েভ'র কারণ জানালেন কেজরিওয়াল