ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহে প্রথম অগ্রাধিকার ভারতের, জানিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট
ব্রিটিশ ওয়ুধ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা/অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের গণ পরীক্ষার সাফল্য দাবি করলেই এই ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ভারতই প্রথম অগ্রাধিকার পাবে। সোমবারই এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্বের বৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা।

৪ কোটি ডোজ তৈরি করেছে সিরাম
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা জানান, এখনও পর্যন্ত তারা ৪ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করেছে । তিনি বলেন, ‘জানুয়ারির মধ্যে আমাদের ১০ কোটি ডোজ কমপক্ষে প্রস্তুত করতে হবে, আমরা ইতিমধ্যে ৪ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলেছি।' পুনাওয়ালা জানিয়েছেন যে তিনি আশা করছেন যে প্রায় ৯০ শতাংশ সিরাম ইনস্টিটিউটের ডোজ ভারত সরকার কিনে নেবে। প্রতি ডোজের দাম ধরা হয়েছে ২৫০ টাকা করে। তিনি এও জানিয়েছেন যে বেসরকারি বাজারে ১০০০ টাকার বিনিময়ে ১০ শতাংশ ডোজ বিক্রি করা হবে।

জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহের সম্ভাবনা
আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষের দিকে আমরা আশা করছি যে জরুরি ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স পেয়ে যাব, তারপরই আগামী জানুয়ারি থেকে কিছু কিছু ডোজ সরবরাহ করা শুরু হবে।' অপরদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে ২৩ হাজার মানুষের ওপর সফল প্রয়োগের পর এই ভ্যাকসিন গড়ে ৭০ শতাংশ কার্যকর কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে। এই ভ্যাকসিন ফ্রিজের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সহজেই সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। এই ভ্যাকসিন অন্যদের মতো নয় যা সংরক্ষণের জন্য চূড়ান্ত ঠাণ্ডা সংরক্ষণের জায়গার প্রয়োজন।

৩০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে যে নিয়ামক সংস্থার থেকে অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা কাটলে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে তারা ৩০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ প্রস্তুত করবে।

গাভি–সিরাম চুক্তি
অগাস্টে সিরাম ইনস্টিটিউট চুক্তিবদ্ধ হয়েছে গাভির সঙ্গে। এই চুক্তি অনুসারে ১০ কোটি ভ্যাকসিন দু'টি ভিন্ন ভ্যাকসিন প্রার্থী অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মার্কিন বায়োটেক সংস্থা নোভাভ্যাক্সের ডোজ প্রস্তুত করা হবে। গাভি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে নিয়ামক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পরই এই ভ্যাকসিন ডোজগুলি ২০২১ সালের প্রথমার্ধে নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশে সরবরাহ করা হবে।
সাইক্লোন 'নিভার' নিয়ে মোদীর আশ্বাসবাণী! ঝড়ের সংহার ঠেকাতে কোন কোন পদক্ষেপ