সব আসনকেই বাড়তি গুরুত্ব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের! তৃণমূল ভাড়াটে সৈন্য নিয়ে লড়ছে, কটাক্ষ বিজেপির
পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) শুধু পাঁচটি সাংগঠনিক জোনের দায়িত্ব পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতার ওপরে ছেড়ে দেওয়াই নয়, রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের দায়িত্ব ২৯৪ জন নেতার নজরদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বিজেপি। এমনটাই খবর সূত্রের। বিজেপির তরফে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, তৃণমূলস্তরের কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই বাইরের রাজ্য থেকে নেতারা আসবেন।

এবার ২৯৪ টি আসনের দায়িত্ব ২৯৪ জন নেতাকে
বিজেপি সূত্রে খবর রাজ্যের ২৯৪ টি আসনে নজরদারির জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ২৯৪ জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের আরও খবর, ২৬ নভেম্বরের পরে ভিন রাজ্য থেকে নেতারা আসতে শুরু করবেন। দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যে আসবেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও, উত্তর প্রদেশ, বিহার, কর্নাটক, গুজরাতের সাংগঠনিক নেতারা। এর আগে রাজ্যে বিজেপির ৫ টি সাংগঠনিক জোনের দায়িত্ব অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ পাঁচ নেতাকে দেওয়া হয়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি নিয়ে গঠিত মেদিনীপুর জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের কাণ্ডারী সুনীল দেওধরকে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম নিয়ে গঠিত রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিজেপির এসসি মোর্চার নেতা বিনোদ সোনকরকে। উত্তরবঙ্গের আট জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় উত্তর প্রদেশের নেতা হরিশ দ্বিবেদীকে। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত কলকাতা জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয় হরিয়ানার নেতা দুষ্মন্ত গৌতমকে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশ নবদ্বীপ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ তাউড়েকে।

বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য তৈরি করা হচ্ছে আলাদা দল
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য বিজেপির তরফে আলাদা দল তৈরি করা হচ্ছে। এতে ৪০ থেকে ৫০ জন করে সদস্যকে রাখা হতে পারে। এছাড়াও তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে ধরে রাখতে আরএসএস প্রচারকদেরও আনা হচ্ছে রাজ্যে।

এখন থেকে প্রতি মাসেই রাজ্যে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা
এছাড়াও বিজেপির তরফে জানিয়েই দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে প্রতিমাসেই রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে জেপি নাড্ডা আগামী ৮ ডিসেম্বর কলকাতায় আসবেন।

বহিরাগত তত্ত্বের জবাব বিজেপির
বাইরের রাজ্যের নেতাদের রাজ্যের সাংগঠনিক কাজে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ লকরে বলা হয়েছে, বহিরাগতরা রাজ্যে অশান্তি তৈরি করতে আসছেন। এদিন এর জবাব দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি পাল্টা বলেছেন, তৃণমূল ভাড়াটে সেনা দিয়ে লড়াই করছে। কিন্তু বিজেপিতে বহিরাগত বলে কেউ নেই। তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তৃণমূল স্তর এবং বুথকর্মী যাঁরা ময়দানে লড়াই করছেন, তাঁদের মনোবল বাড়াতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাশে দাঁড়াবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু-গড়ে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ অনুগামীর! একুশের আগে বিড়ম্বনা বাড়ছে তৃণমূলে