পবিত্র নদীর মহিমা ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ, শুরু হবে 'অতুল্য গঙ্গা' পরিক্রমা
ভারতীয় সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ গঙ্গা। উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকার তেষ্টা মেটানো ছাড়াও এই নদীর ঐতিহ্য এবং ধার্মিক মাহাত্ম অপরিশীম। এই নদীকে এবার দূষণ মুক্ত করতেই চালু হতে চলেছে বিশেষ গঙ্গা পরিক্রমা। ১৫ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে এই যাত্রা। 'অতুল্য গঙ্গা' নামক এই যাত্রার মূল লক্ষ্য হবে মানুষের মনে গঙ্গা সংক্রান্ত সচেতনা বাড়িয়ে তোলা।

গঙ্গা নদীর উপর ভর করে রয়েছে এদেশের অন্তত ৫০ কোটি মানুষের জীবন। তবে আমরা এই নদীর প্রতি নিজেদের অবহেলা বজায় রেখেছি সেই আদ্যিকাল থেকে। তবে গঙ্গার মহিমা ফেরাতে এবার ময়দানে নেমেছেন তিন সেনা কর্তা। বিশেষ এক যাত্রা সম্পন্ন করে তাঁরা দেশের মানুষকে এই নদী সম্পর্কে সচেতন করতে চান।
অভিনব পরিকল্পনা করেছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হেম লোহুমি, গোপাল শর্মা এবং কর্নেল মনোজ কেশ্বর। ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে গঙ্গাকে প্রদক্ষিণ করবেন তাঁরা। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৯০০ কিলোমিটার রাস্তা পার করবেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই গঙ্গা-দূষণের বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন এই তিন সেনা অফিসার। পরিচিত বৃত্তে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই মাথায় আসে এমন একটি পরিকল্পনার কথা। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি নাগাদ গঙ্গাসাগরে পৌঁছনোর পরিকল্পনা দলের সদস্যদের। সব মিলিয়ে সামনের বছরের মাঝামাঝি আবার ঋষিকেশে ফিরে যাওয়ার কথা তাঁদের।
সাহায্য আসে দিল্লি আইআইটি থেকেও। আইআইটির অধ্যাপক আহমেদ জিয়া শেখ এবং শ্রী কৃষ্ণন যুক্ত হন এই দলে। বিশারদ গিরিজা ভারত, হিমবাহ এবং মহাসাগরবিদ রসিক রবীন্দ্র এগিয়ে আসেন বিশেষজ্ঞের দায়িত্ব নিতে। গঙ্গার জন্য গুগল রিভার ম্যাপিং করার সিদ্ধান্তও নেন তাঁরা। সব মিলিয়ে 'অতুল্য গঙ্গা' এখন এক বড়সড় দল। সব মিলিয়ে ৪৫টি বড় শহর, ৫০০-র বেশি পঞ্চায়েত, কয়েক হাজার স্কুল ভ্রমণ করবেন তাঁরা। ২০৩০ সালে গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করা লক্ষ্য তাঁদের।
শীতের আমেজের মাঝেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! আছড়ে পড়বে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই